প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কিছু তরুণ শিক্ষার্থী তাদের সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের গুণাবলী বিচারে এই ফেলোশিপ পেয়েছেন।
জাতিসংঘের একাডেমিক ইম্পেক্ট এবং মিলিনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে নেতৃত্বস্থানীয়দের মিলিনিয়াম ফেলোশিপ প্রদাণ করা হয়।
এবছর ১১৯টি দেশের ৪৪,০০০ ইয়ং লিডার্স এপ্লাই করার পর, ৪০০০ জনকে সিলেক্ট করা হয়েছে। এর মাধ্যমে চার মাস ব্যাপি একটি ট্রেনিং সেশন এবং প্রজেক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিসংঘের SDG বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তুলার লক্ষ্যে এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি সম্পন্ন করা হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি দলে(cohort A ও cohort B) ২৬ করে জন করে মোট ৫২ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে যার মধ্যে ২ জন করে ক্যাম্পাস ডিরেক্টর রয়েছেন।
ফেলোশিপ প্রোগ্রামের একটি দলের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ অর্নব বলেন-‘এই ফেলোশিপ কেবল আমাদের স্থানীয় অবস্থান দেখেই দেওয়া হয়নি, নিঃসন্দেহে এই স্বীকৃতি আমাদের ত্যাগ এবং বৈশ্বিক উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয়ের প্রতিফলন। এটি সহস্রাধিক তরুণ সম্ভাবনাময়ীদের বিশ্ব ব্যাপী পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যাওয়ার একটা প্লাটফর্ম, আমরা তরুণ নেতাদের একটি নেটওয়ার্কে অবদান রাখছি যারা সম্মিলিতভাবে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করছে’।
আর একজন ক্যাম্পাস ডিরেক্টর ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী নোশিন আনজুম প্রভা মিলিনিয়াম ফেলোশিপ পেয়ে তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন- ‘মিলিনিয়াম ফেলোশিপের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।সবার সাথে মিলে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় সত্যি আনন্দিত। পাশাপাশি যারা আমাকে এই যাত্রায় সহায়তা করেছে সকল কে ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য যে গত বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৬ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছিল এ বছর ১৬ জন বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে।