বিএনপি দেশকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে চায়, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে চায়নি, এখন কেন তারা সেই তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আন্দোলন করছে কেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা আরও বলেন,দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে নিয়ে বিএনপি এখন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি এবং তাদের সমর্থন নেই। কারণ, লুটেরাদের সঙ্গে কেউ থাকে না। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দেশের সর্বনাশ করা ছাড়া কোনো কিছুই করতে পারে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে আবারও অন্ধকারে এবং পেছনে টেনে নিয়ে যাবে। দেশবাসীকে বলব-বিএনপিকে বিশ্বাস করবেন না।
জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে বিএনপি ভোট চুরি করেছিল বলেই জনগণ তাদের ক্ষমতায় থাকতে দেয়নি। বিএনপি’র লুটপাট আর ধ্বংসের রাজনীতি চর্চার বিষয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বিএনপির এক দফা দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে, তাহলে কোন অপরাধে তাকে পদত্যাগ করতে হবে? তিনি বলেন, একসময় যারা বলেছিল, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়; তারাই আজ তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কথা বলছি। বিএনপি তাদের পুরনো বক্তব্য অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক বানানোর জন্য পাগল এবং শিশু খুঁজে পেয়েছে কিনা তাও জানতে চান সরকারপ্রধান।
২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপির দেশে ৫০ হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছে, আর ১১ হাজার নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশ যখন উন্নয়ন অগ্রগতিতে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে, তখনই তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে দেশকে ধ্বংসের।
বিএনপি-জামায়াত দেশের সম্পদ লুটপাট আর মানুষের ক্ষতি করা ছাড়া কোনো কিছুই করতে পারে না- এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। বিরোধী দলের নেত্রী থাকা অবস্থায় কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাও জানতে চান শেখ হাসিনা।
বিদ্যুত, শিক্ষা, খাদ্য আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন খাতে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে যেখানে রেখে গিয়েছিল, সেখান থেকে দেশ কীভাবে পিছিয়ে গেল সেই প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলের ভেতরে ঐক্যের নিদের্শনা দেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। সমসাময়িক রাজনীতিসহ বৈঠকে ৯টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়।