মোঃনাজমুল হোসেন বিজয়। বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলাতে টানা ভারী বৃষ্টিতে উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি তলিয়ে গেছে। স্কুলটির চার পাশে থৈ থৈ করছে পানি। তবুও ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসছেন শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪০ সালে ৬৬ শতাংশ জায়গা নিয়ে ১০নং উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি ভবন সেটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে ক্লাশ রুম হিসেবে অস্থায়ীভাবে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৫ জন। শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন। কিন্তু বিদ্যালয়টি বিলের মাঝে হওয়াতে সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠসহ চলাচলের রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে ঠিকভাবে স্কুলে আসা-যাওয়া ও নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারে না ছাত্র ছাত্রীরা।
গত চার-পাঁচদিন টানা ভারী বৃষ্টি হওয়াতে স্কুলটি তলিয়ে না গেলে চার পাশসহ চলাচলের রাস্তা তলিয়ে গেছে। দীর্ঘ ৩৫ বছরে বিদ্যালয়ের রাস্তায় একটি ইটও পড়েনি। অভিভাবকদের অভিযোগ- স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশা দিলেও কোনো সময় এই স্কুলের চলাচলের রাস্তার সংস্কার করা হয়নি। এতে করে আমাদের শিশুরা বৃষ্টির সময় ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করেন।
আমাদের দাবি এই রাস্তাটি সংস্কার করে উঁচু করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইমাম, তাহের ও ছাদিয়া,মার্জিয়াসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, কষ্ট করে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয়। এখন আর কাদায় হাঁটতে কষ্ট মনে হয় না। প্রতিদিন দুইটি শার্ট প্যান্ট নিয়ে স্কুলে আসি, কারণ কাদা দিয়ে হাঁটলে পড়ে গেলে স্কুলে এসে পাল্টাইয়া ফেলি। অনেক সময় স্কুলে আসতেও পারি না। বর্তমানে রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন আমাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধের পথে। আমাদের প্রাণের দাবি যাতে করে এই রাস্তাটি উঁচু করে দেয়া হয়। উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম, সামান্য বর্ষার সময় হাঁটু সমান পানি জমে থাকে রাস্তায়। বর্তমানে ভারী বৃষ্টিতে রাস্তাটি তলিয়ে রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বেশ কষ্ট হয়। কেউ বা পানি ও কাদার ভয়ে স্কুলে আসতে চায় না। এতে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বাড়ছে। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করে উঁচু করার দাবি জানাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। এ বিষয়ে কড়বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম সিকদার পনু বলেন, গত অর্থবছরে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। আগামী অর্থবছরে পরিষদ থেকে ওই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, বিষয়টি খুব দুঃখজনক। খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।