শার্শা প্রতিনিধিঃ
“আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এমনই স্লোগান নিয়ে সারা দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সুনির্দিষ্ট তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্হা করছেন।
তারই পরিপেক্ষিতে, যশোরের শার্শা উপজেলা বাগআঁচড়া ইউনিয়নের বামুনিয়া সোনাতনকাঠির জামতলা নামক খালধারে ১০ টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে উক্ত প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ দিয়ে বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু সেখানের বসবাসের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে অভিযোগ করেছেন বরাদ্ধ পাওয়া ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা।
তাদের অভিযোগ, আমাদের ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে, চালের টিনে ঠিক মত পেরেক মারা হয়নি এমনকি অনেক মটকার টিনে মোটেও পেরেক মারেনি। দায়সারা ভাবে স্যানিটারি ল্যার্টিনের তৈরি করে দিয়ে গেছে এমনকি ভাঙ্গাচুরা রিংস্লাপ স্থাপন করে দিয়েছে। আমাদের এখানে ২ টা ডিব টিউবওয়েল স্থথাপনের কথা থাকলেও সেটা এখনও আমরা পাইনি। বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার থাকলেও সরজমিনে দেখা যায় একটি মাত্র ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। বাকী ঘর গুলো রয়ে গেছে আধারে।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর রাস্তার ধারে আমন রোপন জমির পাশে বাস্তবায়িত হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই আশ্রয়ন প্রকল্পের স্থানে পানি বেধে যায়। যেটা কাদা পানিতে সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী। তবে ভরা বৃষ্টির মৌসুমে এখানে বসবাস করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে উক্ত প্রকল্পের আশ্রিত বাসিন্দারা। প্রকল্পের ১০টি ঘর উদ্বোধন করে হস্তান্তর করলেও সেখানে মাত্র তিনটি পরিবার বসবাস করছে আর বাকীরা এসব সমস্যার কারণে এখনো সেখানে বসবাস করতে আসিনি।
শাহিদা খাতুন বলেন, এখানে আসার আগে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভাতার কার্ড ও ৬ মাসের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল তার কোন কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়নি। আমরা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে এসব অভিযোগ নিয়ে ধর্ণা দিলেও তারা কেউই এখনও পর্যন্ত আমাদের বিষয়টি দেখেনি।
তারা আরও বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় আমরা ঘর পেয়েছি সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, বিষয়টি আমি মেম্বারের কাছ থেকে শুনেছি। বিষয়টা আমারা দেখছি পিআইও সাহেব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে টিউবওয়েল বসাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আর বিদ্যুৎ লাইন দিবে পল্লী বিদ্যুৎ।