কে এম নুর মোহাম্মদ
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে শীলখালি চেকপোস্টে তল্লাশী চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,একটি প্রাইভেটকার এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটককৃত চালক হচ্ছেন, টেকনাফ পৌরসভার কুলাল পাড়া বর্তমানে সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়ার মো. রশিদের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৮)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,শনিবার (২৯ জুলাই) সাড়ে ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর দায়িত্বপূর্ণ মেরিন ড্রাইভ অথবা টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে যানবাহনযোগে মাদকদ্রব্য পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া, হোয়াইক্যং, খুরেরমুখ এবং শীলখালী চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশী কার্যক্রমে নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। কিছুক্ষণ পর টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী একটি প্রাইভেটকার শীলখালী অস্থায়ী চেকপোস্টের নিকট আসলে তা তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। পরবর্তীতে উক্ত প্রাইভেটকারটি তল্লাশীকালীন প্রাইভেটকারের চালকের আচরণ সন্দেহজনক এবং পূর্ব হতেই প্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন প্রাইভেটকার মিলে যাওয়ায় চালককে চেকপোস্টে কর্তব্যরত সৈনিক দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশী এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত চালকের স্বীকারোক্তিতে প্রাইভেটকারের চালকের সীটের ডান পার্শ্বে বডির ভিতরে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আটককৃত আসামীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে বর্ণিত প্রাইভেটকারটিও আটক করা হয়। উল্লেখ্য, উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কপথ ব্যবহার করে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করে আসছে।
তিনি আরো জানান, আটককৃত আসামীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, মোবাইল ফোন এবং প্রাইভেটকারসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য যে,গতকাল শুক্রবার(২৮ জুলাই) টেকনাফ শীলখালি চেকপোস্টে তল্লাশী চালিয়ে ১১ হাজার ৭৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি প্রাইভেটকার এবং ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড উত্তর জালিয়া পাড়ার আবদুল গনির ছেলে মোঃ উছমান গনি (২০) নামে এক চালককেও আটক করা হয়। টেকনাফ কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কারের মধ্যে চালকরা নিয়মিত ইয়াবার বড় বড় চালান বহণ করে আসছে।