স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে অবস্থিত পাঁচ গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ ডা. শ্যামল কুমাল পালের বিরুদ্ধে। তিনটি মেহগনি ও দুটি রেইনট্রি গাছ কর্তনের ক্ষেত্রে মানা হয়নি সরকারি বিধিমালা। কিন্তু গাছ কর্তনের বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার পরে অবগত হন এমনটা জানান হসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন। অন্যদিকে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও হাসপাতালের উল্টো দিকে বন বিভাগের কার্যলয়ের কর্মকর্তা এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে গাছ কর্তনের সত্যতা মিলেছে। এরআগে গত রবিবার দুুপুরের দিকে গাছগুলো কর্তন করা হয়েছে।
আরও জানা যায়, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সম্পদ ও সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্ব হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ও জেলা সিভিল সার্জনের। অন্যদিকে এই হাসপাতাল কম্পাউন্ডের আওতাধীন স্টাফ কোয়ার্টারের কয়েকটি ভবনে গত চার বছর যাবত অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
জেলা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিঞা জানান, গাছ কাটার পরে হাসপাতাল কর্তপক্ষ বিষয়টি আমাকে অবগত করেছে। কাজটি সঠিক করেনটি অধ্যক্ষ। সরকারি গাছ কাটতে হলে গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখতে হয়। গণপূর্ত বিভাগ বনবিভাগের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। তারা কমিটি গঠন ও মিটিং করে রেজুলেশনের মাধ্যমে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে গাছের বিক্রিত মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। এ প্রক্রিয়াটি মানা না হলে মারাত্মক ভ‚ল করা হয়েছে।
নেত্রকোনা সদর হাসপাতাপালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান পাঁচটি গাছ কর্তনের সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আমরা করি নাই। নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ তিনি করেছেন। আমি মামলা করার প্রস্তুতির কথা জানালে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ভুল হয়ে গেছে বলে জানায়। প্রসিডিউর অনুযায়ী আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দেখি কি করা যায়।
নেত্রকোনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানা নেই এবং এ বিষয়ে কোন মিটিং বা রেজুলেশন হয়েছে কিনা সেটাও আমি জানি না। তবে তথ্যটি দিয়ে ভাল করেছেন।
বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, মূল্য নির্ধারণের কাজটি আমরা করে থাকি। গাছ কর্তনের বিষয়টি আমার জানা নাই।
মঙ্গলবার নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শ্যামল কুমাল পালের কার্যালয়ে গেলে তিনি অফিসে আসেননি। এরআগে ও পরে অনেকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও ফোন দেওয়া হলেও বক্তব্যের জন্য সাড়া মেলে নেই।
তবে তার প্রশানিক কার্যালয়ের প্রধান সহকারি উত্তম কুমার ঘোষ গাছ কাটার কথা স্বীকার করলেও এর পক্ষে অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। শিক্ষার্থীদের রান্না ঘরের চাল দিতে অসুবিধার জন্য গাছ কাটার হয়েছে বলে জানান তিনি।