জসিম উদ্দীন, নেত্রকোণা
নেত্রকোণার কলমাকান্দার ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস আজ। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন হবে দিবসটি।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই সকালে দূর্গাপুরের বিরিশিরি থেকে কলমাকান্দায় পাকহানাদার ক্যাম্পে রসদ যাওয়ার খবর পান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কমান্ডার নাজমুল হক তারার নেতৃত্বে ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে নাজিরপুর বাজারের সকল প্রবেশ পথে অ্যাম্বুস করেন।
তারা জানান, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর পাকহানাদার বাহিনী না আসায় তাদের অ্যাম্বুস প্রত্যাহার করে তারা নিজ ক্যাম্পের পথে যাত্রা করেন। পথে নাজিরপুর কাচারির কাছে পাকহানাদার বাহিনী তাদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে এই সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন সাত বীর মুক্তিযোদ্ধা। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- নেত্রকোনার ডা. আবদুল আজিজ, মো. ফজলুল হক, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. ইয়ার মাহমুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস, মো. নূরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ও জামালপুরের মো. জামাল উদ্দিন।
সম্মুখ যুদ্ধ শেষে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের লেংগুরার ফুলবাড়ী সীমান্তে গনেশ্বরী নদীর পাড়ে ১১৭২নং পিলার সংলগ্ন স্থানে সমাহিত করা হয়।