মো: আতাউর রহমান।
“মিরপুর প্রতিনিধি”
রাজধানীর মিরপুর কালশী পল্লবী থানাধীন আদর্শ নগর এলাকার একটি বাড়িতে মাকে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে মেয়ের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাত আটটার দিকে পল্লবী থানাধীন কালশি আদর্শ নগরের ১১ নম্বর রোডের ২১ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর নাম বৈশাখী আর তার মায়ের নাম লাভলী। লাভলীর চার মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বৈশাখী সেজো।
বৈশাখীর মামা সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেল ৫টার দিকে আমার বোন লাভলীর বাসায় গিয়ে তার কাছে কোনো মাদক না পেলেও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখায় পুলিশ। মোটা অংকের টাকা দাবি করে। আমার বোন লাভলী ৫০ হাজার টাকা দিলেও তাকে উলঙ্গ করে নির্যাতন। করে পল্লবী থানার পুলিশ সদস্যরা।
খোজ নিয়ে জানা যায় বৈশাখী সদ্য বিবাহিত একজন নারি সে তার স্বামীর সঙ্গে মিরপুরেরর বাউনিয়াবাদ এলাকায় থাকতেন। সোমবার বিকেলে মায়ের বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্য এসেছিলেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ নিহত বৈশাখী এর মা লাভলী বেগম কে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে পল্লবী থানার এসআই জহির, ওহিদ, আনোয়ারসহ পুলিশের স্থানীয় সোর্সরা। এ দৃশ্য দেখে বৈশাখী ক্ষোভে কষ্টে পুলিশের সামনেই আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ সদস্যদের আটকে রেখে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এলাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জাকির হোসেন দ্যা মেইল বিডির সাংবাদিক মো: আতাউর রহমান কে রাত ৮ টার দিকে ফোন করে জানান এই ঘটনার কথা পরে সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
লাভলীকে বিবস্ত্র অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে এডিসি নাজমুল বলেন, ‘একজন নারীকে পুলিশ কেন বিবস্ত্র করতে যাবে? প্রত্যেকটা ঘটনারই ফুটেজ আছে স্থানীয়দের কাছে। প্রচুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।’
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার জসীমউদ্দীন মোল্লা মধ্যরাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘পল্লবী থানার একটি দল এক মাদক কারবারি লাভলীকে ধরতে যায়। তার ওখান থেকে কিছু গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার হয়। এরপর তাকে ছাড়িয়ে রাখার জন্য তার মেয়ে ও পরিবারের লোকজন টানাহেঁচড়া করে। একটা পর্যায়ে লাভলীকে নিয়ে পুলিশ নিচে নেমে আসে।
‘ওই সময়ে তার মেয়ে দরজা আটকিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকে পুলিশকে। একই সময় দরজা আটকিয়ে আত্মহত্যার অ্যাক্টিং করতে গিয়ে সে ভেতরে মারা গেছে। পরে স্থানীয়রা দরজা ভেঙে তাকে বের করেছে। সেই ভিডিও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাভলীর নামে সাতটি এবং বৈশাখীর নামে চারটি মাদকের মামলা আছে। এরা পুরো পরিবারটিই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।