মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের কালকিনিতে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মোঃ কামরুল হাসান (৫৫) নামে এক অসহায় কৃষকের বাজারের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মানের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে কালকিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে থানা পুলিশ সহায়তায় উভয় পক্ষকে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দোকানঘর নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে অসহায় পরিবারের জমি দখল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে কালকিনি পৌর এলাকার থানার মোড় মাছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, কালকিনি পৌর এলাকার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আঃ মজিদ মিয়ার ছেলে অসহায় কৃষক মোঃ কামরুল হাসানের ৮৩নং চর ঠেঙ্গামারা মৌজায় বি.আর.এস ১১৯নং খতিয়ানে ১৮নং দাগে ২৭ শতাংশ থানার মোড় মাছ বাজারে জমি রয়েছে। ওই জমির কিছু অংশ দখল করে কালকিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার দোকানঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। এতে একাধিকবার বাধা প্রদান করা হলেও ওই প্রভাবশালী কোন বাধা না মেনে ঘরের নির্মান কাজ চালিয়ে যান। কোন উপায় না পেয়ে কামরুল হাসান বাদী হয়ে মাদারীপুর আদালতে একটি ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর সুত্র মতে আদালত কাউকে ওই জমিতে দখলে না যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু আদালতের এ নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে যুবলীগ নেতা ওই জমিতে দোকানঘর নির্মানের কাজ চালিয়ে আসছেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দোকানঘর নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী মোঃ কামরুল হাসান বলেন, আমার বাজারের জমি দখল করে জোরপূর্বক পাকা দোকানঘর নির্মান করছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার। তাই আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করছি।
ভুক্তভোগী কামরুল হাসানের বড় ভাই হান্নান হাওলাদার বলেন, মনির হাওলাদার যুবলীগ নেতা হওয়ার সুবাদে এর আগেও কালকিনি মাছ বাজারে অবৈধ ভাবে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সে একজন দখলদার ভুমিদস্যু তার এই অত্যাচারের হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই।
অভিযুক্ত কালকিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান হাওলাদার বলেন, বাজারের ওই জায়গায় কামরুল হাসানের কিছু অংশ ও সরকারি জমি রয়েছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দোকানঘর নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।