মশিউর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চাঁর শিশুকে সারাদিন হাত পাঁ বেঁধে পার্কের ভিতর কাঁশ বনে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
পার্কের মালিক মোফাজ্জল, শিশির রেস্টুরেন্ট এর কর্মচারী ও ফরহাদ আলীর ছেলে আকাশ এর বিরোদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
নির্যাতিত শিশু জুবায়েদ ও জুনায়েদ এর চাচা তাহের শিকদার বলেন,
গত ২২ জুলাই (শনিবার) সকাল ১০ টার সময় আমার ভাতিজা জুবায়েদ (৫) ও জুনায়েদ( ৭) আলম এর ছেলে শাহদত(৫) এবং পারভেজ/ আমেনার ছেলে নাম (অজ্ঞাত) বয়স ০৬ সর্বসাং কোমারপাড়া রেল কলোনী।
তারা সকলেই সকাল বেলা বাড়ী থেকে খেলতে বের হয়। আর বাড়ীতে না আসায় সারাদিন আমরা খোজাখুজি করতে থাকি কোথাও না পেয়ে হতাশায় বাড়ীতে যাই।
পরে বিকাল ৬ টার সময় খবর পাই যে পার্শবর্তী ব্যাবসায়ী মোফাজ্জলের শিশির রেষ্টুরেন্ট পার্কে হাত পা বেঁধে ফেলে রেখেছে।
পরে আমরা লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। তিনি আরো জানান, উদ্ধারের পর শিশুরা জানিয়েছে আমাদের সকাল বেলা আকাশ ও অন্যরা
হাত পা বেধে রেষ্টুরেন্ট এর পাশে কাঁশ বনের ভিতর আটকে রেখে মাথায় গরম পানি দিয়ে নির্যাতন করে। এবং সন্ধা হলেই তাদেরকে অন্য স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে এমনটিও জানায়।
এটি শুধু নির্যাতন, না শিশু পাঁচারের চেষ্টা খতিয়ে দেখে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।
রেষ্টুরেন্ট ম্যানেজার মোঃ রেজাউল হক মিঠু জানান, আমার অবর্তমানে আমার শ্রমিক রিফাত শিশু গুলাকে গাছ থেকে পিয়ারা পাড়তে দেখে রেষ্টুরেন্ট এর ভিতর এনে কিছু ক্ষন বসিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু আকাশ এসে শিশু গুলোকে বেঁধেছিলো বলেও জানান তিনি। তবে আমি এসে শিশু গুলাকে পাইনি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি রেষ্টুরেন্ট পাঁচ বছরের নামে ভাড়া দিয়েছি। এখন যদি সেই রেষ্টুরেন্ট এ কাউকে বেধে রাখে তাহলে সে জন্যতো আমি দায়ী না।
আর এ কাজটা করছে রেষ্টুরেন্ট এর এক কর্মচারী ও বহিরাগত একটি ছেলে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুলতান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান আছে তদন্তের পর আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।