মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নে কামাল হোসেন (৪৫) এর বিরুদ্ধে তার মা মনোয়ারা বেগম (৬৫) এর গায়ে হাত তোলার অভিযোগে ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তার মা মনোয়ারা বেগম।
গত ৭ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১১/০৭/ ২০২৩ তারিখে (মা) মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনকে অজ্ঞাত করে (ছেলে) কামাল হোসেন এর নামে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেন।
কামাল হোসেন, উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর রূপধন (গুদিঘাটা) এলাকার মৃত আঃ রাজ্জাক মুন্সি’র বড় ছেলে।
মামলার তথ্য বিবরণী ও মনোয়ারা বেগমের সাক্ষাতকারে জানা যায় যে, তার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় বিগত ১২ বছর পূর্বে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে কামাল হোসেনকে বিদেশ পাঠায়, তবে সে বিদেশের কামাইকৃত অর্থ বাড়িতে মা-বাবাকে না দেয়ায় তার বাবা সাংসারিক সংকীর্ণতায় সকল জমি বিক্রি করে, যা মেজো ছেলে জামাল ও ছোট ছেলে শাওন ( কুদ্দুস) ক্রয় করে, তার বাবা মারা যাওয়ার পরে কামাল প্রবাস থেকে ১৬ বছর পর বাড়িতে এসে বাবার বিক্রয়কৃত জমি ও রোপনকৃত বিভিন্ন গাছ জবরদখলের চেষ্টা করে, মা মনোয়ারা বেগম সহ পরিবারের সকলে এলাকার চৌকিদার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে ফয়সালা চাইলে কামাল তা না মানিয়া পুনরায় জবরদখল শুরু কর, তার মা মনোয়ারা বেগম উক্ত জবরদখলে বাঁধা দিতে গেলে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং কিল ঘুষি দিয়ে জখম সহ বিভিন্ন ধরনের খুনজখমের হুমকি দেয়।এমন সময় মনোয়ারা বেগমের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন তার কাছে ছুটে আসে, পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার করানোর জন্য পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয় । পরে আপোষ মিমাংসার অপেক্ষা করিয়া তার মা পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ জনকে স্বাক্ষী ও তার বড় ছেলে কামাল হোসেন সহ আরো ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করিয়া- দন্ড বিধি: ৩২৩/৩৭৯/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন, মামলায় কামালের নামে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। মামলার সাক্ষী – ১. সিমু বেগম, স্বামী – শাওন মিয়া। ২. আমেনা বেগম, স্বামী – জামাল হোসেন। ৩. জামাল হোসেন, পিতা মৃত আঃ রাজ্জাক মুন্সি। ৪. জহির, পিতা- আঃ রশিদ। ৫. সুমি, স্বামী- জহির।
পরবর্তীতে কামালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মায়ের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে।
ছাড়াও স্থানীয় লোকজন তার মায়ের গায়ে হাত দেওয়া এ ঘটনা সত্য বলে জানায়।