মশিউর রহমান নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কবরস্থানের পুকুর ভরাট কাজের ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরোদ্ধে।
উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আক্তার হোসেন এর বিরোদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মসজিদ ও কবরস্থান কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অভিযোক্ত আক্তার হোসেনের বিরোদ্ধ জামালপুর জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায, পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট পিংনা দক্ষিন পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানের পুকুর ভরাট কাজের আবেদন করেন মসজিদ কমিটি।
যার ফলে উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিয়ন্তনাধীন ইজিপিপি কর্মসূচির আওতায় দৈনিক ৩৬ জন শ্রমিকের প্রতি শ্রমিকের ৪ শত টাকা হারে ৮০ দিনের জন্য সর্বমোট ১১ লাখ ৫২ হাজার টাকা প্রকল্পের অর্থ উক্ত কবরস্থানের জন্য বাজেট করেন।
প্রকল্পটি ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত হওয়ায় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আক্তার হোসেনকে প্রকল্পের সভাপতি করা হয়।
আক্তার হোসেন কবরস্থানের পরিচালা কমিটিকে কাজ শুরু করতে বল্লে তারা মসজিদের গচ্ছিত অর্থ দিয়ে কাজ শুরু করেন।
সর্বমোট ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যায় করে মাটি ভরাট কাজ সম্পন্য করেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ্য।
পরে প্রকল্পের চলমান কাজের ছবি দেখাতে হবে বলে আনুমানিক তিনশত সেপ্টি মাটি এনে শ্রমিকের মাথায় তুলে দিয়ে ছবি উঠায়।
পরবর্তীতে প্রকল্পটির বিল উত্তোলিত হলে প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন প্রকল্প ব্যায়ের টাকা মসজিদ কমিটিকে দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে।
এক পর্যায় মুক্তিযোদ্ধা ও পরিচালনা কমিটির চাঁপে মাত্র ৬০ হাজার টাকা প্রদান করে। বাকী টাকা দিতে পারবোনা বলে সম্পুর্ণ অস্বীকার করে।
টাকা চাইলে বা টাকার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করিলে মিথ্যা চাঁদা বাজি মামলা দিবে বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমরা আক্তারের কথামতো মসজিদের গচ্ছিত টাকা দিয়ে কাজ করি। কিন্তু প্রকল্পের টাকা উঠার পরেও সে আমাদের টাকা দিবেনা বলে জানিয়ে দেয় তাই বাধ্য হয়েই জামালপুর জেলা জজ কোর্টে গত ০৯ জুলাই ২০২৩ ইং সি আর ২০১১(১) ২০২৩ নং মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমি ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় পিংনা দক্ষিন পাড়া কবরস্থানের মাটি ভরাট কাজের প্রকল্প দিয়ে ছিলাম। তারপরতো আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ্য হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলাম এখনো সুস্থ্য হতে পারিনি।
এ অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি আমার ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তার হোসেন বলতে পারবে।
অভিযোক্ত আক্তার হোসেনকে বার বার একাধীক নাম্বার হতে ফোন করা হলেও পোন রিসিপ করেন নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ন কবির কে ফোন করা হলে সেও ফোন রিসিপ করেন নি।