ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের কবির ও আবুল কালাম কর্তৃক উত্তর ধর্মপুর জামে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি। গতকাল সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এসব অভিযোগ তুলে ধরেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্য মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী হাফেজ আহাম্মদ জানান,  কবির ও আবুল কালাম ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের নাম বলে মসজিদের উত্তর দক্ষিনে ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়।মসজিদের উপকারের কথা ভেবে উক্ত উদ্যোগে এলাকাবাসী সাড়া দিয়ে ব্যাক্তিগত ভাবে সবার সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করে।যা প্রথম ও ২য় ধাপে ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে দেয়া হয়। রাস্তাকরার কথা বলে এলাকাবাসীর মন জয় করে গণস্বাক্ষর আদায় করেন কালাম ও কবির। পরবর্তীতে সে স্বাক্ষর কাজে লাগিয়ে নিজেদের মসজিদ মক্তব কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক করে মনগড়া কমিটি করে। পরবর্তীতে দায়িত্ব নিয়ে মসজিদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করা শুরু করে।
তিনি বলেন, মসজিদের জায়গা বিক্রির বিষয়ে যে প্রতিবাদ করে তাকে এলাকাবাসী ও ভাইয়ে ভাইয়ের মধ্যে মামলা লাগিয়ে হেনস্তা করে। নিজেরা স্বাক্ষী হয়ে এসব মামলা সামাধান করে এবং এতেও কাজ না হলে নিজেরা ঘটনা সৃষ্টি করে এলাকাবাসী যে প্রতিবাদ করে তার মামে মামলা দায়ের করে। এখন পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক মামলার বাদী হয়ে পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।পাশাপাশি তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও হুমকীতে গ্রামবাসীর অসহায়ত্ব তুলে ধরেন তারা।
লিখিত তিনি বক্তব্য আরও বলেন, বিগত ২ মে কবির ও কালামের কাছে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে মসজিদের যাবতীয় আয় ব্যয়ের হিসাব চাইলে হিসাব দিবেনা বলে জানান তারা।এছাড়াও বাড়াবাড়ি করলে কুফিয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেন কবির ও কালাম। যার ফলস্বরূপ গ্রামবাসী তাদের অবাঞ্চিত করে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন করে। নতুন কমিটি এ বিষয়ে কবির ও কালামের জাল জালিয়াতির প্রতারণা মামলা ও হামলার বিষয়ে জানিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
সভাপতি বলেন, পুলিশের আন্তরিকতায় নিরাপদে থাকলেও কবির ও কালাম বিনা কারনে হাসপাতালের চিকিৎসা স্লিফ ব্যবহার করে সমাজ ও গ্রামবাসীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। তারা জানান, মসজিদের মোট সম্পত্তি ২৮০ শতক এরমধ্যে কতটুক আত্মসাৎ হয়েছে তা জানা নেই।।মসজিদের দুরাবস্থা হলেও কবির ঘরে মদের আসর বসিয়ে ফূর্তি করে। এর আগেও কবির নিজের বাবার সম্পত্তি আত্মসাৎ করে পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে মামলা করে। কবির আগে আওয়ামী লীগ জাসদ করলেও বর্তমানে বিএনপি করে এবং স্থানীয় ছাত্রলীগ  নেতা রবিনকে মুঠোফোনে হুমকি দিতে গিয়ে ফেনী-২ আসনের সংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যানদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় তারা কবির ও কালামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করে মসজিদের আত্মসাৎকৃত সম্পত্তি আদালতের মাধ্যমে ফেরত দেয়ার দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম, সদস্য আব্দুল লতিফ, মোঃ আনা মিয়া, আব্দুল হান্নান, আবদুল মান্নান, কাজী জয়নাল আবেদীন, শাহ আলম, নেজাম উদ্দিন৷ জাবের, গণি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Share.
Leave A Reply

Exit mobile version