টিম হোটেল থেকে সিলেট ক্যাডেট কলেজ হাঁটাপথ। ক্রিকেটাররা ইচ্ছে করলেই সেখানে একবার ঘুরে আসতে পারতেন। গেলে বিকেএসপির একটা ফিল পেতেন সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাসরা। তারা না গেলেও টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ কেউ অবশ্য গিয়েছিলেন। এ মুহূর্তে সাকিবদের হোটেলের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আফগানিস্তানকে হারিয়ে খোশ মেজাজে রয়েছেন তারা। গ্র্যান্ড সিলেট হোটেলের রুমে বসেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন তারা। টিম মিটিংয়ে সিরিজ জয়ের ছক কষেছেন। আসলে ম্যাচ জিতলে দলের ভেতরে অন্যরকম একটা পরিবেশ থাকে। বাংলাদেশ দলে সেই আনন্দঘন পরিবেশ ছিল গতকাল। যেটাকে কাজে লাগিয়ে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিও জিততে চান সাকিব।
চট্টগ্রামের ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশকে ফেভারিট মানতে চাননি আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদী। স্বাগতিকরা আসলে ফেভারিটের মতো খেলতেও পারেনি। বরং প্রথম ম্যাচ দুটি প্রভাব বিস্তার করে খেলে জিতেছে সফরকারীরা। টি২০ ক্রিকেটে রশিদ খানরা ওয়ানডের চেয়েও শক্তিশালী। বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা আগের ৯ ম্যাচের ছয়টিতে জিতেছেন তারা। এবার তাদের বিপক্ষেই জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করা গেছে। এরকমই চেয়েছিলেন সাকিব। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, দুটি ম্যাচই জিততে চান। সিরিজে নিজেদের ফেভারিট দাবি না করেও একটা বার্তা দিয়েছিলেন। আফগানদের বিপক্ষে টি২০ সিরিজটি এখন পর্যন্ত সাকিবের পরিকল্পনা মতোই যাচ্ছে। তিনি জয় দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলেন, তাওহিদ হৃদয়রা সমন্বিত পারফরম্যান্স করে দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে গেছেন। শেষটাও ভালোভাবে করার পরিকল্পনা থাকবে টাইগারদের।