মোঃনাজমুল হোসেন বিজয়।
বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে প্রকাশ্যে চলছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রি। এসব জাল দিয়ে বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিলে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। বর্ষার শুরু সাথে সাথে এসব জাল বেচাকেনা বেড়ে গেছে ও মাছ ধরা শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় পৌরশহরে বুধবার হাটের দিনে প্রকাশ্যে পুরাতন বাজারের খালেদা কটনের মালিক মোঃ আব্দুল খালেক প্রকাশ্য কারেন্ট জাল বিক্রি করেন। এ ছাড়াও সিলভার পট্টিতে আব্দুস সালাম ও আব্দুল মালেক নামের দুজনও প্রায়ই কারেন্ট জাল বিক্রি করেন।
আমতলী উপজেলার উপর দিয়ে পায়রা নদীসহ একাধিক খাল-বিল রয়েছে। এসব জলাশয়ে এখন যথেষ্ট দেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। বর্ষায় এসব নদী-নালা, খাল-বিলে মাছ ডিম ছাড়ায় প্রচুর রেণু-পোনা জন্ম নিয়েছে।কিন্তু কারেন্ট জালের ব্যবহারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশিয় প্রজাতির মাছ।
আমতলী পৌর শহরের সিলভার পট্টি এলাকায় প্রায় ২০/৩০ বছর ধরে সরকারী আইন কানুনের কোন রকম তোয়াক্কা না করে আব্দুল খালেক মিয়া নিয়মিত কারেন্ট জাল বিক্রি করছেন। এতে ধ্বংস হযে যাচ্ছে দেশিয় প্রজাতির মাছ। আব্দুল খালেক অবৈধভাবে কারেন্ট জাল বিক্রি করলেও দেখার কেহ নাই।
বর্ষার শুরু থেকে এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়। নদ নদী খাল বিল ডোবার পানি বৃদ্ধির পর মাছ ধরার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করে নিজেদের অজান্তেই মৎস্য সম্পদকে হুমকির মুখে ফেলছেন মাছ শিকারিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কারেন্ট জালের সহজলভ্যতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
মৎস্য মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে সরকারের জারি করা মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কারেন্ট জালের উৎপাদন, বুনন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, বহন ও ব্যবহার করতে পারবেন না। আইন ভঙ্গকারীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা এক থেকে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি-১২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার মাছ ধরার ক্ষেত্রে ৪.৫ সেন্টিমিটার বা তার কম ব্যাস বা দৈর্ঘ্য ফাঁস বিশিষ্ট জাল বা অনুরূপ ফাঁস বিশিষ্ট অন্য যেকোনো জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
এব্যাপারে আমতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ কারেন্টজাল বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ী ও বিক্রি কারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।