কে এম নুর মোহাম্মদ
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং বাহারছড়া ঘাটে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে একটি বড় আকারের মাছ। মাছটির নাম কালো পোপা। জেলেরা ৩০ কেজি ওজনের মাছটির দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। শুক্রবার (১৪ জুলাই) ভোরে সৈয়দ আহমদের মালিকানাধীন ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারটি সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাটে এসে পৌঁছালে মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় করেন।
ওই মৎস্য ঘাটের ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)। বায়ুথলি বেশ মূল্যবান বলে পোপা মাছের দাম অনেক বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ট্রলার মালিক বলেন, ২৩ জুলাই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। এর মধ্যে পেটের দায়ে অনেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে করে সাগরে মাছ শিকার করছেন।
তবে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই ট্রলারের চালক (মাঝি) মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন,শুক্রবার সকালে মাছ ধরার জন্য সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া থেকে পাঁচজন মাঝিমল্লাসহ সৈয়দ আহমদের ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা দেন তাঁরা। এর মধ্যে বারো বাইন নামের এলাকায় গিয়ে জেলেরা জাল ফেলেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ একটি বড় কালো পোপা মাছ আটকা পড়ে। মাছটি জালে ধরা পড়ায় জেলেরা খুশি হয়েছেন।
ট্রলারের মালিক সৈয়দ আহমদ বলেন, এখন পর্যন্ত আবদুর রহমান ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুজন মাছ ব্যবসায়ী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। আরও বেশি দামের আশায় সন্ধ্যায় মাছটি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে পাঠানোর কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ সেলিম বলেন, তিনি পারিবারিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় অধিকাংশ নৌযান সাগর থেকে নিরাপদ স্থানে তুলে রাখা হয়েছে। ৩০ কেজি ওজনের পোপা মাছ ধরা পড়ার খবরটি তিনি শুনেছেন। সব সময় জালে এত বড় পোপা মাছ ধরা পড়ে না।