কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এলপি গ্যাস বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার এলপি গ্যাস বিক্রিতারা সরকারি মূল্যে কেউ এলপি গ্যাস বিক্রি করছে না বলে অভিযোগ করে অনেক ভোক্তারা। খুচড়া বিক্রেতারা সরবরাহ কম ও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস। আবার কিছু কিছু দোকানি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্যাস বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
যেখানে ১২ লিটারের এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ৯৯৯ টাকায় ক্রেতার পাওয়ার কথা,সেখানে এখনো বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। গত ৩ জুলাই সন্ধ্যা থেকেই এ মূল্য কার্যকর করার কথাও বলা থাকলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সে কারণে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে বাগবিতন্ডা লেগেই আছে।
ক্রেতা মনির হোসেন বলেন, গ্যাসের দাম কমে ৯৯৯ টাকা হয়েছে, কিন্তু আমার কাছে নিলো ১২৫০ টাকা। তাহলে কি দাম কমানোর নামে আমাদের সঙ্গে নাটক চলছে। অপর এক ক্রেতা বলেন, আমর জানা মতে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দোকানদার অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে আমাদের কাছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন।
খুচড়া বিক্রেতা মসূয়া বাজারের কামাল মিয়া ও পং মসূয়া বাজারের আবুল কাসেম জানান,আমরা ডিলারদের কাছ থেকে নির্ধারিত দামের ছেয়ে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই চাইলেও সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না। ডিলারদের কাছ থেকে যে দামে কেনেন, তার চেয়ে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করেন।
যমুনা ও টোটাল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলার মো. বেনু মিয়া জানান, কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে। ফলে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি চেয়ে দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিবহণ খরচ দেখিয়ে কোম্পানি আমাদের কম রেটে গ্যাস দিচ্ছে না। তাই আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারছি না।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান জানান, অতিরিক্ত মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের অভিযোগ পেয়েছি। আজকে বাজার মনিটরিং করে দেখব। যারা অতিরিক্ত মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।