দেওয়ান রানা, মদন, নেত্রকোণা (প্রতিনিধি):
মদনে চাচা শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন সাথে পরকীয়া জেরে ভাতিজার স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) মদন পৌরসভার মদন- কেন্দুয়া রোডে চাচা শ্বশুর দেলোয়ার হোসেনের দোকানে ভুক্তভোগী নারী গেলে তাকে বেধরক মারপিট করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের দাবিতে চাচা শশুরের বাড়িতে ৫ দিন ধরে অনশন
এর আগে এই নারী চাচা শ্বশুর দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মদন থানায় ধষর্নের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মদন পৌরসভার
বাড়িভাদেরা গ্রামের একই বাড়ী মৃত তৈয়ব আলী ছেলে দেলোয়ার হোসেন এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই নারী। বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দিয়ে তাকে বিয়ের কথা বলে, অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন দেলোয়ার হোসেন। পরকীয়ার বিষয়টি স্বামী ও প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হলে তাঁর স্বামী তাকে তাঁর ঘর থেকে বের করে দেন। ভুক্তভোগী নারী নিরুপায় হয়ে গত ১০ জুন চাচা শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন এর বাড়িতে অনশন করেন। একটানা ১০দিন বিয়ের দাবীতে চাচা শ্বশুর দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করেন। এতে কোন ফয়সালা না হওয়ায় ভুক্তভোগী নারী ২০ জুন রাতে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই চাচা শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন ভুক্তভোগী নারীকে বিভিন্ন ভাবে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী নারীর নানী বলেন, আমার নাতনিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশি চাচা শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন পরকীয়া করে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে একাধিকবার ধর্ষন করে। তাই আগের জামাই আমার নাতনিকে নিয়ে ঘর সংসার করবে না বলে বাড়ি হতে বের করে দিয়েছে। এখন আমার নাতির কি হবে,আপনাদের মাধ্যমে আমি এ ঘটনা ন্যায় বিচার দাবী করছি।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমানের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে মামলা হয়েছে, আসামী ধরার জন্য অভিযান চলছে।