ইউক্রেনকে বিতর্কিত গণবিধ্বংসী ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা দেওয়ার পক্ষেই অবস্থান নিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ জোরদার করতেই কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তার অংশ হিসেবে এ বোমা সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ বেসামরিক মানুষ হতাহতের বড়ই ভয়ঙ্কর রেকর্ড রয়েছে এ বোমার এবং এটিকে ১২০টিরও বেশি দেশ নিষিদ্ধ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, খুব কঠিন এ সিদ্ধান্ত নিতে তার কিছুটা সময় লেগেছে। তবে তিনি এ বিষয়ে মত দিয়েছেন, কারণ ‘ইউক্রেনীয়দের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে’।
এ সিদ্ধান্তকে ‘সময়োপযোগী’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন। অন্যদিকে মস্কোর একজন রাষ্ট্রদূত এ ঘটনায় ওয়াশিংটনের চরম নিন্দা করেছেন।
শুক্রবার বাইডেন এক সাক্ষাৎকারে সিএনএনকে বলেন, আগামী সপ্তাহে লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ার আগে এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি মিত্রদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবিস্ফোরিত বোমার কারণে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারে— এমন ভাবনা থেকে মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা সরবরাহের বিষয়টি দীর্ঘদিন আটকে রেখেছিল।
যদিও কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার অস্ত্র চেয়েছে ইউক্রেন। নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার ফুরিয়ে আসার আগে দ্রুত তা সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে আসছিল দেশটি।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বেসামরিক মানুষের সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে আনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং সেখানে আরও গোলাবারুদ সরবরাহ করা দরকার।
তিনি বলেন, এই সংঘাতের সময়ে আমরা কোনোভাবেই ইউক্রেনকে অরক্ষিত রাখতে পারি না।
সুলিভান বলেন, যুদ্ধে রাশিয়াও ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে ক্লাস্টার বোমা দিচ্ছে সেগুলোর চেয়ে বেশি নিরাপদ।
তিনি দাবি করে বলেন, মার্কিন ক্লাস্টার বোমার ডুড রেট (অবিস্ফোরণের হার) ২.৫ শতাংশেরও কম। যেখানে রাশিয়ার এই হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে।
সূত্র: বিবিসি