এ,এম স্বপন জাহান, মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ১৩ বছরের এক কিশোরী মুক্তি পেল বাল্যবিয়ের অভিশাভ থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা (দ:) ইউনিয়নের গড়াকাটা সংলগ্ন পুনারকুড়ি গ্রামে।
উপজেলা প্রশাসন ও একাধীক গ্রামবাসীর ভাষ্যমতে,বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই )সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা (দ:) ইউনিয়নের গড়াকাটা সংলগ্ন পনারকুড়ি গ্রামের তারা খা (৪৫) তার স্কুল পড়োয়া মেয়ে শেফালী আক্তার (১৩)এর জাল জন্ম সনদ বানিয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করে। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় কৌশলী দুটি পরিবার তারাতাড়ি বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু বিধিবাম! ১৩ বছর বয়সের কিশোরীর বিয়ে হচ্ছে। এমন খবর পৌঁছে যায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে। খবরের সত্যতা গোপনে অনুসন্ধান করে উপজেলা প্রশাসন। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( দায়িত্ব প্রাপ্ত) শীতেষ চন্দ্র সরকার ও মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহিদুল হকের হস্তক্ষেপে কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন মধ্যনগর থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে অনেকে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে মেয়েটির পিতার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহিদুল হক বলেন,বাল্য বিবাহের খবর শুনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে বাল্য বিবাহ টি বন্ধ করা হয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( দায়িত্ব প্রাপ্ত) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স বিদ্যামান হওয়ায়। বাল্য বিবাহ বন্ধে আমরা সোচ্চার পাশাপাশি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের এগিয়ে আসতে হবে।