গতরাত থেকেই গুঞ্জনটা ছড়িয়ে পড়েছিল। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে ক্রিকেট থেকেই যে এই ওপেনার নিজেকে সরিয়ে নেবেন সেটি ধারণার বাইরে ছিল।
শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটই ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন তামিম ইকবাল। বৃহস্পতিবার আকস্মিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানিয়ে দিলেন, গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচটাই ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তামিম। বারবার টিস্যু দিয়ে চোখের পানি মুছছিলেন। কিছুতেই নিজেকে সংবরণ করতে পারছিলেন না। এতটাই আপ্লুত হয়ে পড়েন যে, কথাই বলতে পারছিলেন না।
তামিম ইকবাল বলেন, আমি ক্রিকেটকে সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর পরও এই যে পরিস্থিতি তৈরি হলো, সে বিষয়ে আমার অনেক কিছু বলার ছিল; কিন্তু কিছুই বলব না।
তামিম ইকবাল গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, আমার ইতিহাসটা এখানেই শেষ হোক। কেন আমি অবসরে, কী হয়েছিল— এসব নিয়ে আপনারা প্লিজ কৌতূহলী হবেন না। আপনারা যে কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করবেন।
বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিবারকে ভুলে যাননি তামিম। তিনি বলেন, আমি আমার পরিবারের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি, যারা আমার কারণে বারবার সাফারার হয়েছে!
গতকাল চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
চট্টগ্রামে আফগানিস্তান সিরিজ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের তামিম কাল গভীর রাতে খবর পাঠান, আজ দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বিষয়ে জানাবেন। পরে সংবাদ সম্মেলন পিছিয়ে দুপুর দেড়টা করা হয়।
তামিমের এমন রহস্যময় সংবাদ সম্মেলনের ডাক গুঞ্জনের ডালপালা ছড়ায়। সংবাদ সম্মেলনে কী বলবেন তামিম? কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কি জানাতে যাচ্ছেন? এসব নিয়ে দুপুর পর্যন্ত কৌতূহল ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে তামিম ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেবেন, এমন সম্ভাবনার কথাই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তামিম গেলেন আরও দূরে। ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১৬ জুলাই হঠাৎই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তামিম। এর পর থেকে শুধু টেস্ট আর ওয়ানডেই খেলছেন ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এ বাঁহাতি ওপেনার।