বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বন্দরনগরীর জুবিলি রোডের ‘টাওয়ার ইন’ হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলেন এ ঘোষণা দেন তিনি।

গুঞ্জনটা জোরালো হচ্ছিল গতকাল রাত থেকেই। হুট করেই গতকাল রাতে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের নিয়ে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করার কথা জানান তামিম ইকবাল। তখন থেকেই তামিমের অবসর নিয়ে যত জল্পনাকল্পনার শুরু।

১৮ মিনিটের বক্তব্যের শুরুতেই তামিম বলেন, ‘গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ আন্তর্জাতিক খেলা। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এই মুহূর্তে অবসরের ঘোষণা দিলাম। এই সিদ্ধান্তটি আমি হুট করে নেইনি। আমি গত কয়েকদিন থেকে এটা ভাবছিলাম। আমি আমি পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি মনে করি এটাই সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার।’

বাবা ইকবাল খানের স্বপ্ন পূরণ করতেই জাতীয় দলে পা রেখেছিলেন তামিম। ছোট চাচা প্রয়াত আকবর খানের কাছেই হাতেখড়ি ক্রিকেট বলে খেলা শুরু করার। সেই সঙ্গে যাদের কাছে পেয়েছেন ক্রিকেটের পাঠ, তাদের সকলকেই ধন্যবাদ জানান তামিম

আমি সবসময় একটা কথা বলেছি যে, আমি ক্রিকেট খেলি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। আমি নিশ্চিত নই, এই ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাকে গর্বিত করতে পেরেছি কিনা। আরও অনেক মানুষকে ধন্যবাদ জানার আছে। আমার সবচেয়ে ছোট চাচা, যিনি ইন্তেকাল করেছেন – আকবর খান; ওনার হাত ধরেই আমার প্রথম ক্রিকেট বলের টুর্নামেন্ট খেলা। তাকে ও তার পরিবারকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। এম এ আজিজে তপন দা নামের একজন কোচ আছেন, যার কাছে আমি ছোটবেলা থেকে প্রাকটিস করেছি। তাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

সেই সঙ্গে সতীর্থ ও ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার ব্যাটার, ‘যে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমি খেলেছি, তাদের সকলকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে জাতীয় দলে যারা ছিলেন তাদেরকে। ক্রিকেট বোর্ডকেও অবশ্যই, তারা আমাকে লম্বা সময়ের জন্য জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছিল। অধিনায়কত্ব করার সুযোগ দিয়েছিল।

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখান তামিম। এর মাঝে কেটে গেছে ১৬ বছর। এর মধ্যে ওয়ানডেতে খেলেছেন ২৪১টি ম্যাচ। ৩৬.৬২ গড়ে রান করেছেন ৮ হাজার ৩১৩। পাশাপাশি টেস্টে ৭০ ম্যাচে ৩৮.৮৯ গড়ে করেছেন ৫ হাজার ১৩৪ রান। আর ৭৮ টি টোয়েন্টি খেলে ২৪.০৮ গড়ে ১ হাজার ৭৫৮ রান করে গত বছর অবসর নেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version