সদ্য সমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ এর শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। ফাইনালে সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়েছে তারা। টাইব্রেকারে কুয়েতের শেষ শটটি ঠেকিয়ে দেন ভারত গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং। যে সেভে নিশ্চিত হয় ভারতের শিরোপা জয়।
তবে গুরপ্রীত নন, সাফের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের আনিসুর রহমান জিকো। ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। দারুণ এক টুর্নামেন্ট কাটিয়েছে হাবিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। যদিও, সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে কুয়েতের কাছে গোল হজম করে আসর থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বিদায় নিলেও সেমিফাইনালে পুরো দল অসাধারণ খেলেছে। বিশেষ করে গোলপোস্টে জিকো একাই যেন দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান কুয়েতের জন্য। ১০৭ মিনিটে রক্ষণের ভুলে বাংলাদেশ যে গোল খেয়েছে, তাতে জিকোর কিছুই করার ছিল না।
চার ম্যাচে মোট পাঁচ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। নেই কোনো ক্লিনশিট। তবু, জিকোকে সাফের সেরা গোলরক্ষক বানিয়েছে কুয়েতের বিপক্ষে তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্স। কখনও এগিয়ে এসে বল ফিস্ট করেছেন, কখনও ঝাঁপিয়ে বল ক্লিয়ার করেছেন।
জার্মানির ম্যানুয়েল নয়্যার, আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সঙ্গে হয়তো বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর তুলনা চলে না। তবে, কুয়েত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচের পারফরমার হিসেবে জিকোকে বাংলার বাজপাখি বললে মনে হয় খুব একটা ভুল বলা হবে না। কুয়েতের বিপক্ষে জিততে না পারলেও জিকোকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। যার কৃতিত্ব তাকে এনে দিয়েছে সাফের সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি।