ডিমলা(নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গার হাটে নতুন কিংবা পুরাতন দোকান ঘর সংস্কার করলেই দিতে হবে মোটা অংকের চাঁদা এমনটাই অভিযোগ উঠছে ভাঙ্গার হাটের এক ডিম ব্যবসায়ী শান্ত ইসলামের দোকান ঘর সংস্কার কাজের বেলায়।
শান্ত ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হাটের সরকারী জায়গায় ডিমের ব্যবসা করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছি ইউনিয়ন পরিষদের এই জায়গায় আমার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালের দোকান ঘর, হাটের শেড, কাঁচা বাজার রয়েছে। সম্প্রতি ঝড়-বাতাস ও বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হওয়ায় গত ১লা জুলাই-২৩ খ্রি: শনিবার সকাল থেকে আমি আমার দোকান ঘরের খুটি ও কাঠের উপর টিন দিয়ে সংস্কার করছিলাম এমতাবস্থায় হঠাৎ আজাহারুল ইসলাম হাতে কুরাল নিয়ে নিজ স্ত্রীসহ অনাধিকার প্রবেশ করে হাটের জায়গা বাবা-দাদার সম্পদ দাবি করে নির্মাণাধীন দোকান ঘরের খুটি ভেঙ্গে দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ ঘটনায় ডিমলা থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ডিম ব্যবসায়ী শান্ত ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ আজাহারুল ইসলাম (৪৫) ও লাভলু মিয়া (৪৮) উভয়ের পিতাঃ মৃতঃ অফিজ উদ্দিন ওরফে খুসসু। তারা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়ার বাসিন্দা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ী বলেন, যুগযুগ ধরে উত্তরাধিকার সূত্রে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি জায়গায় নিয়মিত ইজারা পরিশোধ করে ব্যবসা করছি । সম্প্রতি কিছু ভূমিদস্যু আমাদের দোকানপাট উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। একাজে তাদেরকে সহায়তা করছে অজ্ঞাত কয়েকজন দালাল।
সাক্ষাতে আজাহারুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা ১৯৬৫ সাল অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখ ৩৫৩১ দাগে ৫.১১ একরের মধ্যে স্কুল মাদ্রাসার জন্য ৩ একর জমি দান করেছিলেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ১ একর স্কুল মাদ্রাসার জন্য রয়েছে ৩ একর তার মানে এখানেই ১ একর জমি বেশি বেদখল রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দানকৃত জমিতে স্কুল মাদ্রাসা না করে তদকালীন সময় থেকে হাট-বাজারের স্থাপনা গড়ে উঠেছে, সেই সাথে ৩১৪৩ দাগের জমিতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। এ জমির পৈত্রিক সুত্রে আমরাই মালিক।
বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পরিষদের জমি কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। এটা সরকার ও জনগণের সম্পত্তি। পরিষদটি অনেক পুরাতন। জমির কাগজপত্র পূর্ববর্তী চেয়ারম্যানগন ঠিকঠাক ভাবে সংরক্ষণ করেন নাই। এ সুযোগে কিছু মানুষ অবৈধ মালিকানা দাবি করছে। আশা করছি সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়েছি, হাটের কাগজ পত্র দেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।