বিএনপির অপকর্ম-দুঃশাসনের কারণে দেশে জরুরি অবস্থা (ইমার্জেন্সি) ঘোষণা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বরিশাল, খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নবনির্বাচিত মেয়রদের আগামী ৫ বছরের জন্য শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এই ৩ সিটির নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একবার ভেবে দেখুন এ দেশে আমার বাবা-মা, ভাইকে খুন করা হয়েছে আর সেই খুনিদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে, বিচারের হাত থেকে তাদেরকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আমরা যারা আপনজন হারিয়েছিলাম বাবা-মা, ভাইদের হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার আমাদের ছিল না।’
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে এসে আমি মামলা করতে গেছি, আমাকে বলেছে যে, এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না। এদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। আজকে যখন কোনো হত্যাকাণ্ড হয়, আমার কাছে যখন অনেকে বিচার চায় আমি শুধু ভাবি, আমাদের তো বাবা-মা হত্যার বিচার পেতে ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাও ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলাম বলেই সেই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করে এই খুনীদের বিচার করেছি।’
আওয়ামী লীগের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১-এ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সন্ত্রাসী তাণ্ডবই ছিল বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র কাজ। অর্থ আত্মসাৎ করা, মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, মানুষের ওপর নির্যাতন, লুটপাট, সম্পদের মালিক হয়েছিল তারা হাজার হাজার কোটি টাকার। তাদেরই অপকর্ম-দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হয়। দুটি বছর এ দেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করে। যা হোক, সেই ইমার্জেন্সি সরকার বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিতে।’