রুহুল আমিন, ডিমলা(নীলফামারী) উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বৃষ্টিপাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে তিস্তায় নদীর পানি। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। (২৯জুন) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল ৬২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (৩০ জুন) শুক্রবার সকাল ৯ টায় ব্যারাজ এলাকায় সদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড হরা হয়েছে ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটারে। যা বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গত ১৯ জুন তিস্তার পানি বিপৎসীমা দশমিক ৭সেন্টিমিটার ওপরে অতিক্রম করেছিল। ২০ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করে স্বাভাবিক হলেও আজ আবার বেড়েছে। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ, ঝারসিংহেসর, খগারচর, কিসামত ছাতনাই, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, ছোটখাতা, বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ীসহ প্রায় ১৫টি চর পানিতে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে তলিয়ে যাওয়া চরগুলো প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ও গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা গ্রামের বেলাল হোসেন নামের একব্যক্তি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ উজানি পানি আসতে থাকে ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। শুক্রবার দিবাগত রাতে পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খালিশা চাপানী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের আমির আলী বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে আমকতের এলাকার কিছু রাস্তা ও বাড়ি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে কিছুটা পানি কমতে শুরু করেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যায় পানি প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। রাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে সকাল পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটারে পানিপ্রবাহ চলছে। আকাশের বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment