ঈদ হলো সকল মুসলিমের প্রাণের উৎসব। এই ঈদ কে ঘিরে তরুণদের থাকে নানা পরিকল্পনা, নানা আয়োজন। তরুণরা ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে যায় নিজ পরিবারের কাছে। এবারের ঈদুল আজহা তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা তুলে ধরেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জবি ফিচার রাইটার্স সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সিদরাতুল মুনতাহা।
ঈদ আনন্দ হোক সীমাহীন
ঈদ মানে খুশি,ঈদ মানে বহু আত্মার মিলন মেলা। প্রতিবছরই বাড়িতে পরিবারের সাথেই ঈদ উদ্যাপন করা হয়। কিন্তু এবার একটু ভিন্ন পরিকল্পনা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবার চলে যাবো নানা বাড়ি। নানা, মামা-মামি, মামাতো ভাই-বোনেরা, চাঁদরাতে হাতে মেহেদী পরা, ইউটিউব দেখে নতুন কিছু রান্না করা,আশা করি সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটবে সবার সাথে। ঈদ পরবর্তী দিনগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা আছে। অনেকদিন পরে শহুরে হাওয়া বদল করে গ্রামীণ পরিবেশ, নদী, সবুজ প্রকৃতিতে মিশে যাওয়া,একটা অন্যরকম আত্মতৃপ্তি কাজ করবে। ঈদের আনন্দটা প্রকৃত অর্থে পূর্ণতা পাবে।
সুমাইয়া সিকদার অনামিকা
লোক প্রশাসন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ
জবিতে আসার পর এইটা আমার প্রথম ঈদুল আজহা।গত কয়েক বছর ইদ সাধারণত আমার ছোট্ট পরিবারের সাথেই কাটানো হয় কিন্তু এইবার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে।এইবার ইদের আনন্দ চাচা চাচি, কাজিনদের সাথে ভাগ করে নিতে গ্রামে যাবো। গ্রামে যাওয়ার কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে উঠছে পাশের চিত্রা নদীর সাথে থাকা সুন্দর স্মৃতি গুলো।সব কিছু মিলায়ে এইবার ইদের আনন্দ কয়েক গুন বেশি হবে, কারণ সাথে কয়েক গুন বেশি নিজের লোকেরা থাকবে আর নিজের চিরচেনা সেই গ্রাম সব কিছুতেই একটা পূর্ণতা নিয়ে আসে।
জান্নাতুল ফেরদৌস ইথু
ইতিহাস বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় হোক ঈদের আনন্দে
ঈদ আমাদের জীবনে নিয়ে আসে খুশি,সৌহার্দ্য ও শান্তির বার্তা। সকল ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করার সুযোগ নিয়ে আসে ঈদ। পবিত্র ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্যলাভের লাভের উদ্দেশ্য হলো কুরবানি করা। সকল মুসলমানের পরিকল্পনা হওয়া উচিত নিজ পরিবারের সাথে ঈদ পালন করা ও সবার মাঝে হাসিখুশি ছড়িয়ে দেওয়া। ধর্মীয় বিধান মেনে কুরবানির ত্যাগের মহিমা নিজের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে হবে। পরিবার আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঈদ কাটানোর ও সকলের সাথে ঈদ আনন্দে মেতে উঠার মধ্যে রয়েছে প্রকৃত সুখ। সুতরাং ছোট- বড় সবার সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকবে।
আশিক মিয়া
ভূমি ব্যাবস্থাপনা ও আইন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা
বছরের দুইটি ঈদের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আজহা, যা মুসলমানদের ত্যাগের উৎসব। বছর ঘুরে আবার মুসলমানদের এই ত্যাগের উৎসব আসতে চলেছে। প্রতিবারের মত এইবার ও সকল মুসলমান তাদের সামর্থ্যের মধ্যে পশু কুরবানি করবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। এই ত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে। ঈদের আনন্দ, উচ্ছ্বাস ভাগাভাগি করে নিতে যান্ত্রিকতার শহর ছেড়ে সকলেই হচ্ছে ঘরমুখো। সকলে নিরাপদে নিজ নিজ পরিবারের কাছে পৌঁছে ঈদ উদযাপন করুক এমনটাই প্রত্যাশা।
হাবিবুল বাসার
লোকপ্রশাসন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ঈদ বয়ে আনুক শান্তি ও সমৃদ্ধি
সারাদিন ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, ভাইবা এবং পরীক্ষা, এরপর আবার টিউশন কিংবা কোচিং: সবমিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করার মধ্যেই চলে এলো পবিত্র ইদুল আযহা। দীর্ঘ দুইমাস পর পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আবারও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবো, এই ভেবেই ব্যাচেলর লাইফের সকল কষ্ট দূর হয়ে গেলো। চাঁদরাতে সবার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়, পরিবারের সদস্যদের সাথে একসাথে ইদের নামাজ থেকে শুরু করে কোরবানি, ঈদের প্রতিটি বিকেলে বন্ধুদের সাথে মেঘনার তীরে আড্ডা, ছোট ভাই-বোনদেরকে নিয়ে নানাবাড়ি বেড়াতে যাওয়া, কাজিনদের সাথে আড্ডা ও মজা: সবমিলিয়ে প্রতিবছর ঈদুল আজহা এক অন্যরকম ভালোলাগা নিয়ে আবির্ভূত হয়। পরিশেষে, ইদ জীবনে বয়ে আনুক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
আমিরুল ইসলাম রোকন
লোক প্রশাসন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ত্যাগের হোক প্রতিবারের ঈদ
বছরে দুইবার ঈদ আসে। তার মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার দিন ঈদুল আজহা। স্রস্টার কাছে নিজের সমস্ত ত্যাগ সমর্পণের দিন এটি। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য। একটি পশুকে বছরের পর বছর লালন-পালন করতে যেয়ে অনেক আবেগ ভালোবাসার অংশীদার হয়ে যায়। পরিবারের সাথে তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে পড়ে। আর অনেক সময়তো সন্তানতুল্য। তাই পশু কেনার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তেমনিভাবে কোরবানি দেওয়ার পরে বর্জ্য নির্দিষ্ট কোনো একটা জায়গায় ফেলতে হবে। তা না হলে এসব বর্জ্যের ফলে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। নিজ নিজ দায়িত্বে সবাইকে বর্জ্য পরিষ্কারে সচেষ্ট হতে হবে।
মিজানুর রহমান মিজান
শিক্ষার্থী, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।