(ঠাকুরগাঁও) জেলা প্রতিনিধি ঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের গাছ কাটার ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বরং অভিযুক্তরা উল্টো ক্লিনিক সংশ্লিষ্টদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে
এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই ক্লিনিকের সহ সভাপতি ও জমি দাতা মোক্তার হোসেন। তবে থানা পুলিশ বলছেন, বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে বসতে বলা হয়েছে। সেখানে মিমাংসা না হলে ঈদের পর
ব্যবস্থা নেয়া হবে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, গত ২০ জুন ভোরে
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ৪টি ইউক্যালেপটাস গাছ অবৈধ ভাবে কাটা শুরু করে একই এলাকার আঃ সামাদ নামে এক প্রভাবশালী ও তার দলবল। এ সময় ওই ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত
সিএইচসিপি শামিমা আক্তার এবং তার স্বামী, দেবর এবং শাশুড়ি বাধা দিলে তাদেরকে মারপিট করে ৪টি গাছ কেটে ফেলে মাটিতে ফেলে দেয় সামাদ ও তার লোকজন। এ ঘটনায় সিএইচসিপি শামিমা আক্তারের অভিযোগের
প্রেক্ষিতে ঐদিন সন্ধায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল জব্বার গাছ কাটার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে দাপ্তরিক ভাবে পত্র দেন।
ঘটনার ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এদিকে সামাদ বাহিনীর লোকজন শামিমা ও তার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন রকমের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এতে আশঙ্কায় দিন পার করছে
ভূক্তভোগী পরিবারটি। এ বিষয়ে আঃ সামাদ জানান, গাছগুলি ক্লিনিকের নয়, তাদের জমিতে এবং তারা লাগিয়েছেন। এ নিয়ে তারা কাউকে কোন হুমকি ধামকি দেননি।পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযোগটি মিমাংসার জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মিমাংসা না হলে ঈদের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।