গোলাপ খন্দকার সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার। এখানকার ‘জবই বিল’ দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জলাশয়টি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি করছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী এ বিলের আয়তন প্রায় ১ হাজার একর। কিন্তু বর্ষাকালে দুকুল ছাপিয়ে এর আয়তন বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার একর।এবার ঈদুল আযহায় উপজেলার জবই বিলের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা গুলো ভ্রমন প্রেমিদের নজর কাড়বে।
জবই বিলে পাখি, মাছ, জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের নিরাপদ আবাসস্থল। বর্ষাকালের বিশাল জলরাশি ও পরিযায়ী পাখির কলতান না থাকলেও বিস্তীর্ণ সবুজ ও সোনালি ধান ক্ষেত আছে। বিল পাড়ের মুক্ত হাওয়া ও উন্মুক্ত দৃশ্যপট দর্শনার্থীর প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। বিলটি শিরন্টি, গোয়ালা, আইহাই ও পাতাড়ী এ চারটি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আইহাই ইউনিয়নের পাহাড়ীপুকুর, মুংরইল ও মাইলডাঙ্গা গ্রামের মধ্যে বিলটির মুল কেন্দ্রবিন্দু। বিলের দক্ষিণ পাশে পাহাড়ীপুকুর, পশ্চিমে মুংরইল ও পূর্বে মাইলডাঙ্গা গ্রাম।
এবার ঈদুল আযহার সময় জবই বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মূল আকর্ষণ থাকবে উপজেলা প্রশাসনের নির্মিত মৎস্য সম্পদের প্রতীক চারটি মাছের সমন্বিত নান্দনিক ভাস্কর্য ‘জবই বিল মাছ চত্বর’। ভাস্কর্যটি ঈদের দিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা থাকবে।
এছাড়া বিলের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই ধারে লাল, হলুদ, সাদা রঙে সুসজ্জিত সারি সারি পিলার, প্রবেশমুখে ‘জবই বিল’ লেখা সেলফি পয়েন্ট, রাস্তার দুধারে দৃষ্টিনন্দন বসার ১২টি বেঞ্চ, জবই ব্রিজের পশ্চিম পাশে নির্মিত ‘বিল বিলাস’ নামক দুটি ভিউ পয়েন্ট দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিল এলাকায় বসানো হয়েছে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ঐতিহ্যবাহী জবই বিলটিকে দুষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে পর্যায়ক্রুমে কাজ চলমান রযেছে এই বিলে দেশীয় প্রজাতির মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী এবং পরিযায়ী ও দেশি পাখির জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল। প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যে ভরপুর এ বিলটিকে সারা দেশে একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে স্থানীয় সকলের সহযোগিতায় আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।