ডা.এম.এ.মান্নান
নাগরপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতাঃ
আর একদিন পরই দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই সবাই নিজ সামর্থ্যের মধ্যে পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে ছুটছেন হাট থেকে হাটে। এখন পছন্দের পশু কেনাই যেন সবার কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জমে উঠেছে গরুর হাঁট।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২৭ জুন) সাপ্তাহিক হাঁটবারে উপজেলার ঐতিব্যবাহী তেবারিয়া পশুরহাট ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় ও দূর দূরান্ত থেকে খামারি ও ব্যবসায়ীরা গরু, খাসি, ছাগল ও ভেড়া নিয়ে হাটে এসেছেন। ক্রেতারা চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী পশুর দরদাম করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনমেলায় জমে উঠেছে গরুর হাঁট। হাটের চারিদিকে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে উপচেপড়া দর্শণার্থী। লাল-কালো-সাদা রংঙের বাহারি গরু দেখতে ক্রেতাদের দেখা যায় ঘুরতে হাঁটের এদিক-ওদিক।
হাটে প্রচুর পরিমাণে গরু আমদানি হচ্ছে। বিক্রিও বেশ জমে উঠেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ- দাম বেশি আর বিক্রেতাদের অভিযোগ তেমন দাম মিলছে না। আশানুরুপ দাম না পেয়ে নাখোশ বড় আকারের গরুর মালিকরা। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ খড়, ভুষিসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতা বা খামারীরা।
উপজেলার নাগরপুর ইউনিয়নের থেকে ছাগল কিনতে আসা এক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে জানান-কোরবানি পশু হিসেবে এবার ছাগল বেছে নিয়েছি। কিন্তু অন্য বছরের চাইতে দাম বেশি মনে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে পেলে একটা ছাগল কিনে বাড়ি ফিরব।’
গরু কিনতে আসা মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভাগে এক লক্ষ পচিশ হাজার টাকার মধ্যে একটি গরু কোরবানি দিবো। তবে, দাম বেশি চাওয়ায় চিন্তায় পড়েছি। মিল মতো পেলে কিনে ফেলব।’ যে দামেই গরু কেনা হোক না কেনো ঈদের দিনে পশু কোরবানির মধ্য সবার মনের পশুত্ব দূর হবে এই আশা সকলের।
এদিকে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে সে জন্য পশুর হাটে ইজারাদার ও পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তায় কাজ করছে।