স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
সীমান্তবর্তী যশোর জেলায় এইচআইভি এইডস ভাইরাসে আক্রান্তে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৬ জন হয়েছে এবং আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রবিবার (২৫ জুন) সকালে যশোর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাকক্ষে হিজরা জনগোষ্ঠী নিয়ে ছিন্নমূল মানব কল্যাণ সোসাইটি (সিএমসিএস),যশোরের আয়োজনে পেশাজীবিদের নিয়ে এইচআইভি প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য দেন জেলার এইডস কমিটির ফোকাল পার্সন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মেডিকেল অফিসার (সিএস) ডা. রেহেনেওয়াজ, ছিন্নমূল মানব কল্যাণ সোসাইটি (সিএমকেএস) ডাম কনসোর্টিয়াম সাব-ডিআইসি ইনচার্জ মিলন মন্ডল, জেলার এইডস কমিটির ফোকাল পার্সোন ও এফপিএবি জেলার কর্মকর্তা আবিদুর রহমান, এইচআইভি কাউন্সিলার কাম এ্যাডমিনিষ্টেশন সুদেব কুমার বিশ্বাস।
জেলার এইডস কমিটির ফোকাল পার্সন আবিদুর রহমান বলেন,যশোরের ২০০৬ সাল থেকে এইচআইভি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। ২০০৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১৪৬জন নারী-পুরুষ এইচআইভিতে আক্রন্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৮ সালে দুইজন, ২০১০ সালে সাতজন, ২০১১ সালে ছয়জন, ২০১২ সালে নয়জন, ২০১৩ সালে আটজন, ২০১৪ সালে ২৩জন, ২০১৫ সালে ৩৩জন, ২০১৬ সালে ১৩ জন, ২০১৭ সালে আটজন, ২০১৮ সালে ছয়জন, ২০১৯ সালে ১০জন, ২০২০ সালে ১০জন, ২০২১ সালে একজন এবং ২০২২ সালে ১০জন। এর মধ্যে এইডস রোগী সংখ্যা ২০জন। এইডস রোগী মধ্যে ১৩জন মৃত্য হয়েছে। মৃত্যুদের মধ্যে আটজন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যশোর জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে যশোরের এইডস রোগীর সংখ্যা। কিছুদিন আগে যশোর মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের(এমএম কলেজ) তিনজন শিক্ষার্থীর শরীরে এইচআইভি ধরা পড়েছে। তার তিন জন একই সাথে একই রুমে থাকতো। এটা যশোরের জন্য অশনি সংকেত দিচ্ছে। যশোরের আক্রান্ত সবাই চিকিৎসাধীন আছেন। ইতোমধ্যে আমরা জরুরি ভিত্তিতে এইডস রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য আবেদন করেছি। খুব দ্রুত আমরা যশোরে এইডস রোগীদের চিকিৎসা করবো।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় আমরা ঝুঁকিতে আছি বেশি। আমরা দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করছি।