পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যে ভোলায় ছোট, বড় আর মাঝারি গরুর সমাহারের মধ্য দিয়ে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুরহাট।
ভোলার ৭ উপজেলায় ৭৩টি কুরবানির পশুরহাট বসছে।হাটের মধ্যে ব্যাপারিদের হাকডাক আর সাধারণ ক্রেতাদের গরু পছন্দের প্রতিযোগিতা। গরু ছাগলের আকার অনুযায়ী দরদাম করছেন ক্রেতা ও পশু মালিকরা।
ভোলার বেশ কয়েকটি পশুরহাটগুলো ঘুরে জানতে পারি পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেকে গরু, ছাগল দাম ধর করে যাচ্ছে। ক্রেতারা জানায় আগের চেয়ে অনেকটা দাম বেশি চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
তবে কাঙ্খিত ক্রেতার দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেকে।
অন্যদিকে দেশে পর্যাপ্ত গরু আছে দাবি করে বা
ইরে থেকে গরু আমদানি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যাপারি ও খামারিরা।
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,এবছর কোরবানির জন্য জেলার ৭ উপজেলায় সম্ভাব্য প্রয়োজন ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার ৪’শ পশু। বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৯০ হাজার ৯৬টি পশু। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৫৮টি গরু, ছাগল ২৬ হাজার ২’শ ৫, মহিষ ৫ হাজার ৫’শ ৬০ ও ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার ২’শ ৭৩ টি। জেলার ২ হাজার ৮’শ ৭৩টি খামারে ৩৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। বাকিগুলো পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে। কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করার জন্য গঠন করা হবে ২১ টি মেডিকেল ভেটেরিনারি টিম।
ভোলা সদর ইলিশার খামারি তছির বলেন, আমার খামারের ৮টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আজ ৩টি গরু ইলিশা হাটে বিক্রি করতে আনছি। এখানে বড় বড় পশুর হাট বসলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। ফলে বাধ্য হয়ে গরু ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে।
হাটে গরু কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এ বছর গরুপ্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হবে।তারপরও হাটে এসে দেখছি একটু কমে পেলে কিনে নিবো।
বাপ্তা এলাকা ডাক্তার আসিফ বলেন,হাটে কোরবানির গরুর সংখ্যা অনেক। পছন্দমতো সাধ্যের মধ্যে গরু কিনতে পেরে খুশি।
রাজাপুর এলাকার কৃষক লোকমান বলেন, বিক্রির জন্য গরু হাটে নিয়ে যাই। দাম কম হওয়ায় আবার ফিরিয়ে আনি। গত ৩দিন ধরে ধরে এভাবে হাট-বাড়ি আনা-নেওয়া করছি।
এদিকে হাটগুলোতে প্রচুর মানুষের সমাগম লক্ষ করা গেছে। অনেকে গরুর বাজারে দর্শক হিসাবে দেখতে আসছেন বলে জানান।
অন্যদিকে ভোলার পশু হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সে জন্য জেলা পুলিশ শক্ত নজরদারি করছে।এছাড়া ভোলার প্রতিটি হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণে সহায়তা করবে বলে প্রচার করছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
তবে আগামী হাটগুলোতে কাঙ্খিত দর পাওয়ার মধ্য দিয়ে হাট আরও জমজমাট হবে বলে আশা প্রকাশ করলেন ভোলার হাট ইজারাদাররা।