হলি সিয়াম শ্রাবণ, নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলামে ডাকের সময় তর্ক-বিতর্কের জের ধরে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মোজাম্মেল হোসেন (৩৯) কে কুপিয়ে জখম করেছে ডাকে অংশগ্রহনকারী স্থানীয় একটি পক্ষের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত যুবক শালিহর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, উপজেলার শালিহর এলাকার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলার জন্য সরকারীভাবে নিলামে দেওয়া হয়। ঘটনারদিন বৃহস্পতিবার ছিল ওই ভবনের ওপর নিলামে ডাক। এতে অংশ গ্রহণ করেন একাাধিক ডাককারী। এ সময় মাত্র একবার ডাকের পর আয়োজকরা আর কোনো ডাক দেননি। এর প্রতিবাদ করেন নিলাম ডাকে অংশ গ্রহণ কারী মোজাম্মেল হোসেন। এ সময় অন্য কয়েকজন ডাককারী মিলে মোজাম্মেলের এই প্রতিবাদে বাধা দেন। এতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। প্রাণ রক্ষার্থে তখন মোজাম্মেল দৌড়ে পালানোর সময় তাকে ধাওয়া করে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে বেশ কয়েকজন। এতে মোজাম্মেল হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে গৌরীপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহত মোজাম্মেল হোসেনের বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনারদিন আমার ছেলে নিলাম ডাকে অংশ গ্রহণ করে। এতে পূর্ব থেকেই বাধা দিয়ে আসছিল বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলীর লোকজন। ডাকের সময় আয়োজককারীরা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে একবার ডাক দিয়েই শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চালান। এতে প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী সাংবাদিকদের জানান- আমার লোকজন এ হামলার সঙ্গে জড়িত নন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় মন্তব্য জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীনের সরকারি মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
টিএমবি/এস