ইবি প্রতিনিধি:
আবেদন ঝুলে থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে তালা ভেঙ্গে ডরমিটরিতে উঠেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী। বুধবার বিকেলে ৫টার জিনিসপত্র নিয়ে ভবনে উঠেছেন তারা।
জানা যায়, ডরমিটরি-২ ভবনের চার ও পাঁচ তলায় বাসা রয়েছে ১৬টি। এখানে আবাসন সুবিধা নিতে বাসা বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়কের নিকট আবেদন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা ও শিক্ষক। কিন্তু বাসা ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও অনুমোদনের বিষয়টি ঝুলে থাকে দীর্ঘদিন। ফলে বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
বাসা বরাদ্দ দেওয়া কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, “বাসা এখনও কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ঈদের পর এগুলো বুঝে দেওয়ার কথা ছিলো। এরই মধ্যে শুনলাম কেউ কেউ নিয়মবহির্ভূতভাবে উঠেছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কেউ কোনো পদক্ষেপও নিতে পারছে না। ক্যাম্পাস খুললে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের টাকা দিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের রাখার জন্য বিল্ডিং বানানো হয়েছে। বাসা বরাদ্দ কমিটি চার মাস আগে মিটিং করেছে, অথচ তারা এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, এমনকি বাসা বরাদ্দের আবেদন করেছে, তারা তা দেখেওনি। কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে বাসা বরাদ্দ দিত ব্যর্থ হওয়ায় সচেতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেখানে উঠে পড়েছে। বিষয়টাকে কর্মকর্তা সমিতি পূর্ণাঙ্গভাবে সমর্থন দিচ্ছে।”
বাসা বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, “এখন যেহুতু ক্যাম্পাস বন্ধ তাই আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। অনেকে অনেক কথাই বলছে, বিষয়টি পিজিক্যালি দেখতে হবে। ক্যাম্পাস খোলার পর আমরা অফিসিয়ালি বিষয়টা দেখবো।”