স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
আইডব্লিউএমের ২০১৭ সালের প্রস্তাবনা ও ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়ন, অবিলম্বে উজানে নদী সংযোগ এবং ভবদহ অববাহিকায় জনপদের মানুষকে বিপদে ফেলা সংশ্লিষ্ট লুটপাতকারীদের বিচারের দাবিতে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর বারটায় ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি যশোর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সাংবদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, উপদেষ্টা তসলিম-উর-রহমান, আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অনিল বিশ্বাস, জিল্লুর রহমান ভিটু, পারভীনা বেগম, চৈতন্য বিশ্বাস, আজিজ সরদার, মিজানুর রহমান, আজিজুর রহমান, পলাশ বিশ্বাস প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সদস্যসচিব চৈতন্য কুমার পাল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৬ মে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ অভয়নগর উপজেলার ভবদহ স্লুইসগেট এলাকা থেকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার চারটি নদীর মোহনা পর্যন্ত পরিদর্শন করে নদীর গভীরতা ও নদীর নাব্যতার চরম বিপর্যয় দেখে নিশ্চিত ধারণা করতে পারেন যে মোহনা থেকে যশোর সদর পর্যন্ত নদী অববাহিকার জনপদ নিশ্চিত মহাবিপর্যয়ে পড়বে এবং এতে করে নদী অববাহিকার চার শতাধিক গ্রাম জলাবদ্ধতার হুমকিতে পড়বে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার স্মারকলিপি প্রদানসহ সমস্যা সমাধানে নানা কর্মসূচি পালন করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কর্ণপাত করা হয়নি বরং নদীগুলিকে হত্যা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ঠিকাদার, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ও ঘেরমালিকেরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে প্রতিবছর জনগণকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা লুটের স্থায়ী ব্যবস্থা করে নিয়েছে।ফলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে’। এই ঘোষণা এই জনপদের মানুষের কাছে তামাশায় রূপান্তরিত হয়েছে।আর তাই ভবদহের ঘোলা পানিতে মাছ ধরা স্বার্থন্বেষী মহল যারাএই সমস্যাকে পুঁজি করে কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা নিয়ে খেলা করছে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
উল্লেখ্য ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং বারোআড়িয়া মোহনা থেকে ভবদহ অঞ্চল পর্যন্ত আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।