নিজস্ব প্রতিবেদক: নগর পিতা নয়, সেবক হিসেবে সিলেট নগরবাসীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বলেছেন, সিলেট নগরবাসী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, জীবন দিয়ে হলেও তাদের আস্থার প্রতিফলন ঘটাবো। স্মার্ট, ক্লিন ও গ্রিন সিলেট গড়তে নগরবাসীর পাশে থাকতে চাই।
আজ বুধবার রাতে বেসরকারি ফলাফল প্রকাশের পর নগরীর মির্জাজাঙ্গালে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দালালি থাকবে না। মা-বোনসহ সবাই নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন। আগামী দিনে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন নবনির্বাচিত এই মেয়র।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙলের প্রার্থীর চেয়ে ৬৯ হাজার ১২৯ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
সিসিকের ১৯০ কেন্দ্রে নৌকা মোট ভোট পেয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১টি। লাঙল পেয়েছে ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। নৌকার জয়ের মধ্যদিয়ে নগর ভবনে ১০ বছর পর ফিরল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সিসিক গঠনের পর প্রথম দুই মেয়াদে নৌকার প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান মেয়র ছিলেন। পরের দুই মেয়াদে দশ বছর মেয়রের চেয়ারে ছিলেন বিএনপির মনোনীত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেটে ৬৯ হাজারের বেশি ভোটে নৌকার জয়সিলেটে ৬৯ হাজারের বেশি ভোটে নৌকার জয়
সিসিক নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীসহ মোট ৮জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় মাঠে থাকেন সাতজন মেয়র প্রার্থী।
অন্যরা হলেন জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মো. আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. শাহ জামান মিয়া (বাস), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরুণ প্রতীক)। সিসিক নির্বাচনে নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।