স্টাফ রিপোর্টারঃ
ইউনিসেফের সহযোগিতায় জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৪- ১৮ বছর বয়সী ঝরে পড়া কিশোর কিশোরীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পের ট্রেড/বিষয়সমুহ হচ্ছে টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিং, অটোমেকানিক্স, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, ইলেট্রিক্যাল ইনন্টলেশন এন্ড মেইনট্যানান্স।
গতকাল সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে সুনামগঞ্জ জেলার, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় মার্কেট ড্রাইভেন স্কিল ট্রেনিং এন্ড জব প্লেসমেন্টস ফর দ্যা আউট অফ স্কুল এডলেসেন্টস লিভিং ইন হাওড় এরিয়া-এএলপি প্রোজেক্ট অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়। ইউনিসেফ সিলেট ফিল্ড অফিসের এডুকেশন অফিসার সিফাত-ই-ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ হাওর অধ্যুষিত জনপদ এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা অপ্রতুল। এছাড়া বিভিন্ন কারণে স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে কিশোর, কিশোরীরা যার ফলে অনেক কিশোরীদের বাল্য বিবাহের শিকার হতে হয়, অনেক কিশোর বিপথগামী হয়ে মাদকসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। ইউনিসেফের সমর্থনে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক যা ঝরে পড়া কিশোর কিশোরীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন “এই -টেকনিক্যাল ট্রেনিং এবং জবপ্লেস্মেন্টের সুবিধা সম্বলিত প্রজেক্টি সুনামগঞ্জ উপজেলার মানুষের জন্য একধরনের আশীর্বাদ হিসাবে এসেছে” এছাড়া প্রধান অতিথি আগত অতিথিদেরকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেন সেই সাথে প্রকল্পের উপকার নিতে অনুরোধ করেন।এএলপি প্রজেক্টে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রজেক্টের টেকনিক্যাল কোঅরডিনেটর কাজী মোঃ সিরাজুস সালেকীন প্রশ্ন উত্তর এবং আলোচনা পর্বে উপস্থিত সকলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সভায় প্রকল্পের উপকারিতা, উপকারভোগী, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য এছাড়া আরো অনেক কিছু বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জাগরনী চক্রের এলইউএল প্রজেক্ট্রের প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিমাদ্রি প্রসাদ মিস্ত্রিসহ স্থানীয় ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, মহিলা সদস্য, অভিভাবক, সুনামগঞ্জ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জব প্লেসমেন্ট অফিসার মোসাব্বির রহমান, তাজ মাহমুদ। এছাড়া সভার সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন প্রকল্পের ফিনান্স ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানা খান।সভার সভাপতি এডুকেশন অফিসার, ইউনিসেফ সিলেট ফিল্ড অফিস, সিফাত-ই-ইসলাম প্রজেক্টের বিস্তারিত বর্ণনা করে তিনি বলেন,দুর্গম হাওরাঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঝরে পড়া কিশোর কিশোরীদের থানা পর্যায়ে জরিপ করে, পাইলটিং প্রজেক্টে আপাতত ৪ টি উপজেলার দুই হাজার, দুইশতজনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পরে, স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে সব উপজেলা ঝরে পড়া কিশোর কিশোরীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে । পরিশেষে আগত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং প্রকল্পের সফলতা কামনা করে সভার মুলতবি ঘোষণা করেন।