উইমেন্স মডেল কলেজে উৎযাপিত হলো ফল উৎসব শনিবার (১৭ জুন)
সকাল ১০ ঘটিকায় নগরীর কুমারপাড়াস্থ মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো WMC ফল উৎসব ২০২৩।
ইএসডি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব জে. এম. এইচ. জে. ফেরদৌসের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্ভাধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ইন্টারনেশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও এমসি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ জনাব প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ, মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জনাব ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, স্কলার্সহোম শাহী ঈদগার অধ্যক্ষ জনাব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুনির আহমেদ কাদরী, ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রিক এন্ড ইলেক্ট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব রফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট বৃক্ষপ্রেমিক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট জনাব আফতাব চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক জনাব বাসিত ইবনে হাবিব, ইএসডি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মনসুর আহমদ লস্কর এবং উইমেন্স মডেল কলেজের অধ্যক্ষ জনাব আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার।
ফল উৎসবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সার্ক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, স্কলার্সহোম শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিনাক্ষী সাহা, আনোয়ারা মতিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জনাব শিশির রঞ্জন সরকার, সুরমা ভ্যালি স্কুলের চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত তালুকদার, দিশারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রবাল ভট্টাচার্য, স্টুডেন্ট হোম স্কুলের প্রিন্সিপাল জনাব এমদাদুল হক, বানিয়ান ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল সামান্তা চাইল্ড, শাহী ঈদগাস্থ এভারগ্রিন একাডেমির অধ্যক্ষ জনাব লতিফা জাহাঙ্গীর, সিলেট সিটি স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জনাব সেনুয়ারা আক্তার চিনু, বালুচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রীতি রায়, প্রাইম কোচিং সেন্টার পরিচালক, ছালিক আহমেদ প্রমুখ।
উইমেন্স মডেল কলেজের সিনিয়র প্রভাষক স্নিগ্ধা চক্রবর্তী ও প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম রাসেলের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উইমেন্স মডেল কলেজের অধ্যক্ষ জনাব আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার। তিনি বলেন, “ফল ও ফলের গাছ হচ্ছে প্রকৃতির বৈচিত্রময় এক নিদর্শন- যা আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে জলবায়ু সংকট মোকাবেলা ও সবুজায়নের উদ্যোগে। পাশাপাশি নিজের দেশ ও সংস্কৃতি তথা ঐতিহ্যকে আপন করে নিতে সাহায্য করবে। ফল শুধুই খাবারের উপলক্ষ্য নয়, এটি বাংলা মায়ের সমৃদ্ধ আকর ও ভাণ্ডারকে বহন করে।” তিনি আরও বলেন, “আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা পেলে উইমেন্স মডেল কলেজ দেশের শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রায়োগিক বিদ্যার বিকাশে এরকম ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিতা কেটে ফল উৎসব ২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এরপর অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উইমেন্স মডেল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। অতিথিরা বক্তব্য ও অনুভূতি প্রকাশ করে একসঙ্গে প্রদর্শিত শতাধিক প্রজাতির ফল দেখেন। ফল প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছিলো বিভিন্ন জাতের ফলের চারাগাছের প্রদর্শনী এবং অতিথি, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার জন্য ফল দিয়ে আপ্যায়ন।
অপরাহ্ন পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ; সাংবাদিক, শিল্প ও সাহিত্য ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি উৎসবকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থীদের উৎযাপনের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন WMC এর সাবেক শিক্ষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্যে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও এমসি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ বলেন -” ফল উৎসব নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের দেশী বিদেশী ফলসহ লুপ্তপ্রায় ও হারানো ফল সম্পর্কে সচেতন করবে এবং ফলজ বৃক্ষ রোপনে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশমাতৃকার প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জনাব ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ উইমেন্স মডেল কলেজ পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা বিভিন্ন দিবসগুলোতে- যেমন কারও মৃত্যুবার্ষিকী বা জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী এমনসব দিনে গাছ রোপণ করে সেই দিবসটাকে স্মরণ রাখতে পারি। এতে করে নতুন ধারার এক সংস্কৃতির চর্চা শুরু হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
জনাব আফতাব চৌধুরী তা বক্তব্য কলেজে এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন নতন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের শুধু খাওয়ার পাশাপাশি বাসায় আসেপাশে ফলজ বৃক্ষ রোপনের আহবান জানান। জাতীয় বৃক্ষ রোপন সপ্তাহ উপলক্ষে WMC র উদ্যোগে সকল বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীতে প্রয়োজনীয় চারা উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইএসডি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব জে. এম. এইচ. জে. ফেরদৌস উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে WMC ফল উৎসব ২০২৩ র স্টল পরিদর্শন ও ফল খাওয়ার আহবান জানান।