তাসলিমুল হাসান সিয়াম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় হঠাৎ ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো লণ্ডভণ্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশকয়েকদিন গাইবান্ধায় ভ্যাপসা গরম পড়েছে । এরইমধ্যে১৫ জুন, বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ পুরো আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। এরপর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি। এ ঝড় প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।
এতে শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, আমসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্রবল বেগের বাতাসে অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বেশ কয়েকটি টিকিট কাউন্টার । শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বাবুল মিয়া জানান, বিকেলে শুরু হওয়া হঠাৎ ঝড়ে আমাদের কাউন্টারসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি কাউন্টারের টিনের চাল উড়ে গেছে । এসময় কাউন্টারে বেশ কয়েকজন অপেক্ষমান যাত্রী থাকলেও কারো কোন ক্ষতি হয়নি বলে তিনি জানান ।
আলহামরা পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্ব থাকা আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ঝড়ে কাউন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অপেক্ষমান যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে ।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের আরিফখা বাসুদেবপুর গ্রামের ,ফরিদুল ইসলাম বলেন , হঠাৎ ঝড়ে আমার থাকার ঘর ভেঙ্গে পড়েছে এখন পরিবার নিয়ে অনেক বিপদে পড়েছি ।
এদিকে ঝড়ের পর থেকে বিদুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের। গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস জানান ,ঝড়ে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছের ডাল পড়ায় বিকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ।তারের উপর থেকে গাছ ও ডালপালা সরানোর কাজ করছে আমাদের লোকজন। আশা করছি দ্রুত লাইন চালু করা যাবে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন , ঝড়ে উপজেলার বেশ কিছু জায়গার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে বলা হয়েছে ।