একজন পপ তারকার কারণে সুইডেনে ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত মূল্যস্ফীতি! বিয়ন্সের কনসার্ট দেখতে ৪০ হাজারেরও বেশি ভক্ত রাজধানী স্টকহোমে ভিড় করায় প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির ওপর।বিয়ন্সের বিশ্বব্যাপী রেনেসাঁ ট্যুর শুরু হয়েছে সুইডিশ রাজধানীর দুটি কনসার্টের মধ্য দিয়ে। বাড়তি চাহিদার কারণে কনসার্টের সব টিকিট দ্রুত ফুরিয়ে যায়। পাশাপাশি অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে হোটেল ও আবাসন খরচে চাপ পড়ে।
২০১৬ সালের পর এবারই একক ট্যুর করছেন বিয়ন্সে। আর এ কারণে দেশি-বিদেশি ভক্তদের কাছ থেকে তুমুল সাড়া পান। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান শহরটির দুর্বল মুদ্রা ব্যবস্থা ও সস্তা টিকিটের সুবিধা নিতে প্রচুর আমেরিকান পর্যটক ভিড় করেছেন। অর্থনীতিবিদরা মূল্যস্ফীতির পেছনে এ কারণকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই) মে মাসের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, যা এপ্রিলের ১০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কম। সুইডেনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি জ্বালানি ও খাদ্য খাতে অস্থিরতা বাড়িয়েছে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি; ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
সুইডেনের ডানসকে ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল গ্রাহনের ধারণা- ‘বিয়ন্স ইফেক্টের’ ফলে মূল্যস্ফীতি অন্তত শূন্য দশমিক দুই শতাংশ বেড়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সুইডেনে টিকিটের দাম এ ধরনের ইভেন্টগুলোর জন্য মাসে মাসে প্রায় ছয় শতাংশ হারে বেড়েছে।
মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে মূলত কনসার্ট দেখতে আসা ভক্তদের আবাসন, যা মে মাসে গড়ে ১২ শতাংশ হোটেলের ভাড়া বৃদ্ধির কারণ।
বিয়ন্সের ভক্তরা স্টকহোমের আশপাশে প্রায় ৪০ মাইল এলাকায় থাকা সব হোটেল বুকড করে ফেলেন, যা হোটেলের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
গ্রাহন বলেন, বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকের মতো খেলাধুলার বড় ইভেন্টগুলো সাধারণত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রসারিত করে। তবে মূল্যস্ফীতির ওপর কনসার্ট দুটির এমন প্রভাব অর্থনীতিতে ‘খুবই বিরল’ ঘটনা।