আগের দিন বাংলাদেশ দল যখন ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে দিন শেষ করে, আফগান কোচ জোনাথন ট্রট তখন বলেছিলেন, ‘আর ১০ রানের মাঝে বাংলাদেশকে বেঁধে ফেলে তার দল স্কোরবোর্ডে ৫০০ রান তুলবে।’ প্রথম ইচ্ছেটা বলা যায় পূরণ হয়েছে, ১০ রানে না পারলেও ২০ রানের মাঝে টাইগাররা অলআউট হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ইচ্ছের ধারে-কাছেও যেতে পারলো না তার দল। মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান।
মাত্র ৩৯ ওভার ব্যাট করে ১৪৬ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। ফলে ফলোঅনে পড়ে যায় তারা এবং এর সুবাদে ২৩৬ রানের বিশাল লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সফরকারীদের ফলোঅন না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ফের ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
দলীয় ১৮ রানে প্রথমবার উইকেট উদযাপনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ইবরাহীম জাদরান ও আব্দুল মালিকের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। ১৭ বলে ৬ রান করা ইবরাহীম জাদরানকে ফেরান তিনি। পরের ওভারেই আব্দুল মালিককে জাকির হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন এবাদত হোসেন। মাত্র ২৪ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপর ১১ রান যোগ হতেই তৃতীয় উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের। রহমত শাহকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান এবাদত। ৯ রান আসে তার ব্যাটে। সমান ৯ রান করে ফেরেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদী। তাকে মিরাজের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
যদিও পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আফগানরা। দলের হাল ধরেন নাসির জামাল ও আফসার জাজাই। দ্রুত গতিতে রান বের করতে থাকেন দু’জনে। তবে বেশি দূর যেতে পারেনি সেই জুটি। বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী মিরাজ। নাসির জামালকে ফিরিয়ে ভাঙেন ৬৫ রানের জুটি। ৩৫ রান করেন জামাল।
পরের ওভারেই ভয়ংকর হতে থাকা আরেক ব্যাটার আফসার জাজাইকে ফেরান এবাদত। ৪০ বলে ৩৬ রান করা এই ব্যাটারকে শরিফুলের ক্যাচ বানান তিনি। ১১৬ রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানরা। সপ্তম উইকেটের দেখা পেতেও দেরি হয়নি। দলীয় ১২৭ রানে এবাদত আমির হামজাকে ফেরালে বেরিয়ে আসে আফগানদের ইনিংসের লেজ।
লেজে জোড়া আঘাত করেন তাইজুল ইসলাম। ইয়ামিন আহমাদজাইকে কোনো রান করার আগেই ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পান এই স্পিনার। অতঃপর নিজাত মাসুদকেও ০ রানে ফেরান তিনি। আর শেষে করিম জানাতকে (২৩) ফিরিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন মেহেদী মিরাজ। যা তার ক্যারিয়ারের দেড় শ’তম টেস্ট উইকেট।