বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপটা ২০২২ সালেই মিটিয়ে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপ জিতে নিজের সাফল্যের বৃত্তটা যেন পূরণ করে ফেলেন লিও। লিও মেসির হাত ধরেই ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়। তবে এবারের বিশ্বকাপ জয়ের পর গোটা ফুটবল বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন? আশা জিইয়ে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি এবং তার সতীর্থরা।
মেসি নিজেও বিশ্বকাপের পর দলের সাথে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচগুলোতেও নিয়মিত অংশ নিচ্ছিলেন। বর্তমানে এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে আর্জেন্টিনা দল আছে চীনের রাজধানী বেজিংয়ে। মেসিও রয়েছেন দলের সাথে। ১৫ জুন বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। মেসি ওই ম্যাচের আগে চীনা সংবাদমাধ্যম টাইটনের সাথে আগামী বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে কথা বলেছেন। সাতবারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী তারকা বলেছেন, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন না।
বিশ্বকাপ জয়ের অপূর্ণতা নিয়েই গত নভেম্বরে কাতারে বিশ্বকাপ অভিযানে গিয়েছিলেন মেসি। তার আগেই মেসি নিজেই জানিয়েছিলেন, কাতার বিশ্বকাপ হবে তার চূড়ান্ত টুর্নামেন্ট। তবে কাতারে দুর্দান্ত খেলেন মেসি। সেইসাথে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন। অনেকের ধারণা ছিল, বিশ্বকাপ জিতে মেসি হয়তো অবসর ঘোষণা করবেন। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলেন মেসি।
সেই সাথে ক্লাব ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ হিসেবে ইন্টার মায়ামিকে বেছে নেয়ার পর থেকেই মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে জল্পনা আরো বেড়ে যায়। মেসির যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণের মধ্যে একটি কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে, আমেরিকার ২০২৬ বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক হওয়া।
তবে টাইটানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেসি স্পষ্ট করে বলে দেন, ‘আমার সে রকম কিছু মনে হয় না। এটা (কাতার বিশ্বকাপ) ছিল আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমি দেখব, বিষয়গুলো কিভাবে এগোচ্ছে। তবে নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমি পরের বিশ্বকাপে খেলার চেষ্টা করব না।’
২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য মেসিকে চাইছেন স্কালোনি। আর্জেন্টিনার কোচের কাছে মেসির বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে স্কালোনি বলেছিলেন, ‘আমরা তার জন্য দরজা খোলা রাখব। যদি ও না খেলে, তবে আমরা বিকল্প দেখব। আশা করি, ও পরের বিশ্বকাপে খেলবে। আমি সেখানে ওকে দেখতে পাচ্ছি।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস