বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ সকাল আটটা থেকে। চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে এবং চলছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। নির্বাচন কমিশনও কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা অফিস থেকে তা পর্যবেক্ষণ করছে।

এর আগে আউয়াল কমিশন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, গাইবান্ধা ৫ উপ নির্বাচন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিসি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণ ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু লাঙ্গল প্রতীকে, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ও জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিকও ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।

আর কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। দুজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ২৮৯টি কেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কেন্দ্রে।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কাউন্সিলর পদে ভোটের মাঠে রয়েছে ১৫৮ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৪২ জন। নির্বাচনে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মোট ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version