সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা (দ:)ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের গড়াকাটা গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টায় করা হচ্ছে রাস্তা মেরামতের কাজ।
চান্দালীপাড়া গুদারা ঘাঁট হতে মহিষখোলা রাস্তার সংযোগ সড়ক হিসেবে কয়েকশত মানুষের যাতায়াতের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল তখনকার উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালের সময়।সেই সময় থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত রাস্তায় এক টুকার মাটি ফেলানোর কাজও করেনি কোন জনপ্রতিনিধি।
বার বার আশ্বাস দেওয়া ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না পরার কারনে অবহেলিত হয়ে পরে ছিল গড়াকাটা গ্রামের একাংশ।
ছোটখাটো বন্যা ও বৃষ্টির পানিতেই তলিয়ে যায় এই রাস্তা।আবার রাস্তাটি গড়াকাটা বাজার থেকে শুরু হওয়ার কিছু অংশে দুইপাশে গভীর পুকুর থাকায় রাস্তার মাটি সরে গিয়ে গভীর খালের সৃষ্টি হয়েছে।এমতাবস্থায় চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অত্র এলাকার,শিক্ষক, ছাত্র কৃষক, জেলে, সহ শতাধিক মানুষের।
তাই জনপ্রতিনিধিদের দিকে তাকিয়ে কোন আশার বার্তা না পেয়ে নিজেদের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজ উদ্যোগে নিরলস পরিশ্রম করে রাস্তা মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে গড়াকাটা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার স্কুল ছাত্র সোহানুর বলেন,এই রাস্তাটি দীর্ঘ দিন মেরামত ও সংস্কার কাজ না করায় বেশিরভাগ রাস্তা কৃষি জমির সাথে সমতল হয়ে হয়ে গেছে।
একটু বৃষ্টি হলেই পানি উঠে গিয়ে চলাচলের অসুবিধা হয়ে যায়।এমনকি এই সৃষ্ট খালে জামা কাপড় ভিজিয়ে পারাপার হতে হয়।এতে অনেক সময় আমাদের বই খাতা,ভিজে যায়।বিদ্যালয়ে যেতে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।
পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন বলেন,রাস্তাটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা,কারন এই রাস্তা দিয়ে আমি সহ আমাদের পাড়ার সকল মানুষ যাতায়াত করে। অনেক সময় জরুরি কোন রোগীর কাছে চিকিৎসা সেবা পৌছাতে হলে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। কারন রাস্তাটির একাংশে গভীর খাল হওয়ায় জামা কাপর ভিজিয়ে অন্যথায় নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়।