মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা চলার সময় ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে ৩ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী রয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান পরীক্ষা স্থগিত করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে তীব্র তাপদাহে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদককে জানান, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রজত কান্তি গোস্বামী।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা শুরুর ১০-১৫ মিনিট পর একজন ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। পরে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে রাজনগর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পর একে একে আরো ৩ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় পরে সেখান থেকে একজনকে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তাকে চিকিৎসা দেয়ার পর সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ও ঝুঁকির কথা ভেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরু হওয়ার সোয়া এক ঘন্টা পর পরীক্ষাটি স্থগিত করেন।
মৌলভীবাজারে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও বিশেষ দোয়া পড়েন।
এদিকে ৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জনের বমি, মাথাঘুরানো সহ কিছু শারিরিক সমস্যা ছিল। একজন শিক্ষার্থী জ্ঞান হারানোর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওই ছাত্রীর বান্ধবীদের থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, তার একটি দামী মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলায় সে কিছুটা বিচলিত ছিল। বিষয়টি নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ও তীব্রগরমে সে অসুস্থ হয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তার মোবাইল ফোনটি ছাত্রী মিলনায়তনে পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবারের পরীক্ষাটির ব্যপারে শিক্ষাবোর্ডকে এই পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। স্থগিত করা পরীক্ষায় যে সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন এতে সবাইকে বিশেষ বিবেচনায় উত্তীর্ণ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। আগামী রোববার (১১ জুন) শেষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রাজনগর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রজত গোস্বামী বলেন, মাত্রাতিরিক্ত গরমে কলেজের ৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি, একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা ও বাকী ৩ জনকে কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এনে তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রী সুস্থবোধ করায় বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই ছাত্রীকে ও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রীর বাবা-মা তাকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।