গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প এর আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর উপর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প এর আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর উপর কৃষক মাঠ দিবস ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বুধবার (৭ জুন) উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের কৃষক শ্রী সুবাস চন্দ্র’র বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মিন্টু মিয়া’র সভাপতিত্বে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, রংপুর অঞ্চলের তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, গাইবান্ধা জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কামরুজ্জামান, ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নিপুণ দেবনাথ, উত্তর কাঠুর মৌজার সকল উপ-সহকারি অফিসার রুবেল, রিপন সহ প্রমুখ। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
গাইবান্ধার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদনের পরিমাণ অনেক কম। কারণ দেশে ভোজ্য তেলের আবাদী জমির পরিমাণ খুবই কম এবং বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর এই জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে আমাদের প্রতি বছর প্রায় ভোজ্যতেল আমদানি করতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বারি’র তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের তৈলবীজ ফসলের ৫০ ধরনের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। আমরা যদি এসব উচ্চফলনশীল জাত কৃষকদের কাছে পৌছে দিতে পারি তাহলে দেশে ভোজ্যতেলের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে এবং আমদানির পরিমাণ কমে যাবে।