মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ‘বিপন্ন প্রজাতির’ একটি মেছো বিড়াল উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। শনিবার (৩ জুন) বেলা দুইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির চন্ডিনগর গ্রামের সামছুজ্জামানের বাড়ি থেকে এটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওইদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মেছো বিড়ালটি মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) ২০০৮ সালে মেছো বিড়ালকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছে।
পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, মেছো বিড়াল মূলত খাল, বিল ও ঝোপঝাড়ে বসবাস করে। এরা মূলত মাছসহ বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে। কখনও সুযোগ পেলে গৃহপালিত হাঁস-মোরগও ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ও বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির চন্ডিনগর গ্রামের সামছুজ্জামানের বাড়িতে মেছো বিড়ালটি কয়েকদিন ধরে হানা দিচ্ছিল। বিড়ালটি তাদের কয়েকটি হাঁস-মোরগও খেয়ে ফেলেছে। শুক্রবার রাতে সামছুজ্জামানের বাড়ির লোকজন মেছো বিড়ালটি ধরতে ফাঁদ পাতেন। শনিবার ভোরের দিকে সেটি ফাঁদে আটকা পড়ে। সকালে তারা বিষয়টি ফোনে বনবিভাগকে জানান। খবর পেয়ে শনিবার বেলা দুইটার দিকে বনবিভাগের লোকজন সেখানে গিয়ে বিড়ালটি উদ্ধার করেন। ওইদিন বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে মেছো বিড়ালটি মাধবকুণ্ডে অবমুক্ত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা খন্দকার রেজা বলেন, আমাদের পাশের এলাকা চন্ডিরনগর গ্রামের সামছুজ্জামানের বাড়িতে একটি মেছো বিড়াল ধরা পড়েছে। এটি দেখতে অনেকটা বাঘের মতো। বাড়ির লোকজন বলেছেন, তাদের বাড়িতে মেছো বিড়ালটি কয়েকদিন ধরে হানা দিচ্ছিল। তাদের গৃহপালিত হাঁস-মোরগ বিড়ালটি খেয়ে ফেলেছে। পরে তারা ফাঁদ পেতে এটিকে আটক করে বনবিভাগকে জানান। বনবিভাগের লোকজন এসে এটি নিয়ে গেছে।
বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস শনিবার বিকেলে বলেন, চন্ডিনগর গ্রামের সামছুজ্জামানের বাড়িতে একটি মেছো বিড়াল ধরা পড়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেলে বিড়ালটিকে মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।