সাবেক স্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ থেকে পিছু হটছেন না হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিট। অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা নাকি তাদের যৌথ সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ বিক্রি করে দিয়েছেন ব্র্যাডের অনুমতি না নিয়েই। এতে চটে গেছেন ‘মানি বল’-এর অভিনেতা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ফ্রান্সে ১৩ লক্ষ ১৮২ কোটি টাকা মূল্যের একটি আঙুর ক্ষেতের সমান দুই ভাগ মালিকানা রয়েছে ব্র্যাড আর অ্যাঞ্জেলিনার। সেখান থেকেই নিজের ভাগটুকু অভিনেত্রী দিয়েছেন রাশিয়ার এক কোটিপতিকে। যার নাম ইউরি শেফলার।
ব্র্যাডের অভিযোগ, তার অনুমতি না নিয়ে শাতো মিরাভাল নামের বিপুল বাগানের অর্ধেক বেচে দিয়ে বেআইনি কাজ করেছেন তার সাবেক স্ত্রী। অভিনেতার আইনজীবী ইতোমধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলেসের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা রয়েছে, অ্যাঞ্জেলিনা গোপনে গোপনে শেফলারের সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে গিয়ে ব্র্যাড ও তার সংস্থার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন।
অন্যদিকে অ্যাঞ্জেলিনার আইনজীবী জানিয়েছেন, ব্র্যাডের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত মানহানিকর এক পদক্ষেপ। কারণ দলিল অনুযায়ী, ভিনিয়ার্ড বা আঙুর ক্ষেতটির সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিতে আছে সুরা (মদ) প্রস্তুতকারী সংস্থা মার্ক পেরিন। ব্র্যাডের নিজস্ব সংস্থা মন্ডো বঙ্গোর সঙ্গেই ২০১৩ সাল থেকে একত্রে ব্যবসা করছেন তারা। শাতো মিরাভাল তার পরই বড়সড় বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এর নাম।
ব্র্যাডের আইনজীবীর দাবি, এই বাগানের সাফল্যের জন্য অ্যাঞ্জেলিনার বিশেষ কিছুই অবদান নেই। অর্থ এবং শ্রম দিয়ে সহধর্মিনীর মতো তিনি ব্র্যাডের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্র্যাডের সঙ্গে শাতো মিরাভালকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
অ্যাঞ্জেলিনা নাকি ব্র্যাডকে না জানিয়েই নিজস্ব ব্যবসা পরিকল্পনা করছিলেন বিবাহ বিচ্ছেদের পর পরই। ২০১৯ সালে তাদের মধ্যে সব কিছু ভাগাভাগি হয়ে যায়, আইন অনুযায়ী একা মা হন জোলি। ৬ সন্তানের জননী অ্যাঞ্জেলিনা তখন সন্তানদের কাছে রাখা নিয়েও লড়ছিলেন। এ সময়ে যাবতীয় সম্পতিও দুই ভাগ হয়ে যায় ব্র্যাড আর জোলির মধ্যে। যদিও সন্তানেরা এখন থাকে মায়ের সঙ্গেই।
২০১৬ সাল থেকে আলাদা থাকেন ব্র্যাড-জোলি। বহুল পরিচিত তারকাজুটির সামনে এবার আইনি জট। কে জিতবেন, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তাদের অনুরাগীরা।