স্টাফ রিপোর্টার : অফিসের রেকর্ড পত্র দেখতে না দেওয়ায় ইউনিয়ন উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বুধবার (৩১ মে) থানায় মামলা দায়ের করেন। মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নেত্রকোনা মদন উপজেলায় ফতেপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মরধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মো. আব্দুর রাজ্জাক একই ইউপির উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা। আর অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন একই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. রেনু তালুকদার।
জানা যায়, রেনু তালুকদার জমির দাগ নম্বর দেখতে ইউপি ভুমি অফিসে যান। তিনি নিজ হাতে ভুমি অফিসের সরকারি খাতাপত্র দেখতে চাইলে ভূমি কর্মকর্তা তাতে বাঁধা প্রদান করেন। এই নিয়ে দুজনের মাঝে বাদুনবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ফতেপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপাতি মো. রেনু তালুকদার জানান, গত বিশ বছর যাবত একটানা ইউপি আ.লীগের সভাপতি। এ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোন খারাপ রেকর্ড নেই। ভালমন্দ জিজ্ঞেস করার পরে দুইটা দাগের বিষয়ে জানতে নায়েব সাহেবকে বলি। তিনি ব্যস্ত এখন দেখাতে পারবেন না বলেন। পিয়নকে দিয়ে জানাতে বললে নায়েব বলে সেও পারবে না। পরে নিজে দেখে নেওয়ার জন্য ভলিয়মের বইটা চাই। নায়েব বলে পাবলিককে দেখানোর কোন আইন নেই। অনেক বলার পরেও রাজি না হওয়াতে নায়েবের সাথে রাগের সহিত কথা বলার সময় তিনি (নায়েব) আমাকে ধরে ফেলে। আমি ধরার আগেই নায়েব সাহেবের হাঁপানি রোগ থাকায় মেঝেতে পড়ে যাওয়ার পর চলে আসি।
ভুক্তভোগী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে ঊধ্বর্তনকে সব কিছু বলেছেন জানান। এর বাইরে আর কোন কথা বলেননি তিনি।
মদনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. শাহনূর রহমান বলেন, সরকারি বিভিন্ন রেকর্ড পত্র নিজে দেখবে তার (আ.লীগ নেতা) হাতে দিতে বলেছিল। নায়েব দিতে অস্বীকৃত জানালে চড়-থাপ্পর মেরেছে। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে বলে জানান তিনি।