তানভীর আহমেদ: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল। মৌসুমের শুরুতেই আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারসে বাজার সয়লাব। বাজারের চারদিকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে মধুমাস জৈষ্ঠ্যের ঐ সব বাহারি ফল গুলো। যদি সে ফল মৌসুমের আগে পাওয়া যায় তাহলে চাহিদা তার একটু বেশিই থাকে। পাশাপাশি সবার আগ্রহ থাকে বেশ। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে এসব মৌসুমি ফলের দাম চড়া! তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমি ফল গুলো বাহিরের জেলা থেকে আসায় পরিবহন খরচ অতিরিক্ত লাগে, এজন্য কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে তাহিরপুর সদর বাজারে গেলে দেখা যায়, ফলের বাজারে সকাল থেকেই পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ও আনারস সহ বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফল বিক্রি করছেন। ক্রেতারাও তাদের চাহিদা মতো দরকষাকষি করে ফল কিনছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগাম কাঁঠাল, লিচু, আম, আনারসে সয়লাব প্রায় পুরো বাজার। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব কাঁচা-পাকা কাঁঠাল সহ অন্যান্য ফল দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দর-কষাকষি করে কিনছেন ক্রেতারা। দাম চড়া হলেও সাধারণ ক্রেতা মৌসুমি ফল ক্রয় করতে ভিড় করছেন বাজারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘বিভিন্ন রকমের আম, লিচু রাজশাহী থেকে বাজারে আসছে। সিলেটের শ্রীমঙ্গল থেকে আনারস, কাঁঠাল, সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার হাশাউড়া থেকে আনারস আসছে। বিক্রেতারা বলছেন,হাশাউড়া এলাকার আনারস খুব মিষ্টি, সুস্বাদু। চাহিদাও বেশি।’
বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়া বলেন, ‘বাজারে এখন আম, জাম, লিচু ও কাঁঠালের চাহিদা বেশি। আপাতত এসব ফলমূল বিক্রি করতেছি। সেই সাথে আনারসেরও ব্যপক চাহিদা রয়েছে।’
আনারস ও কাঁঠাল বিক্রেতা সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে আনারস ও কাঁঠালের চাহিদা অনেকটা বেশি, সারাদিনে অনেকগুলো বিক্রি করতে পারি। প্রতিটা কাঁঠাল, ১০০-২০০ টাকা করে বিক্রি করছি। কাঁঠালের দামে ক্রেতারা খুশি।’
তাহিরপুর সদরের বাসিন্দা জাহিদুল কামাল বাজারে এসেছেন মৌসুমি ফল ক্রয় করতে। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আম ও লিচুর দাম অনেকটা বেশি। দাম বেশি থাকার পরও ১০০ পিছ লিচু কিনেছি।’
আবুল হাসনাত নামক আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সব ফলের দাম বেশি, কোন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছে কি না তা মনিটরিং করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ’আসলে ফলগুলো বাইরের জেলা থেকে আসছে, সেজন্য কিছুটা দাম বেশি। তবে সিন্ডিকেট করে যদি কেউ দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে চেষ্টা করে, তাহলে আমরা অবশ্যই আইন প্রয়োগ করব।’